রক্ত বিক্রির চক্র ফাঁস পুরুলিয়ায়। রোগীর পরিজনের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে ২৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকায় বিকোচ্ছে প্রতি ইউনিট রক্ত। শুক্রবার এই সংক্রান্ত একটি অডিয়ো ক্লিপ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল অডিও ক্লিপের সতত্যতা যাচাই করা সম্ভব না হলেও ১ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের এই অডিও ক্লিপে শোনা গেছে পুরুলিয়ার বড়বাজারের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য চঞ্চল মহাপাত্রের কণ্ঠস্বর। অপরদিকে ছিলেন অজয় মাহালি নামে জৈনক এক ব্য়ক্তি। ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপে বলতে শোনা গেছে যে, বছর সত্তরের বৃদ্ধা জ্যোৎস্না গোস্বামীর জন্য বি পজিটিভ গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন ছিল। কারণ, তাঁর দেহে রক্তের পরিমাণ কমে গিয়েছে। এদিকে জ্যোৎস্না দেবী পুরুলিয়ার মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। ছেলে বাড়ি বাড়ি পৌরহিত্য করে সংসার চালান। এ ধরনের পরিবারের জন্য রক্তের খোঁজ করতে গিয়ে অজয় মহালি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন চঞ্চল। অজয়ের স্পষ্ট বক্তব্য, রক্ত নিতে হলে লাগবে টাকা।
ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপে, চঞ্চলবাবু সবরকমভাবে অপরজনকে বোঝানোর চেষ্টা করেন জ্যোৎস্না গোস্বামীর পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা। কিন্তু উল্টো দিক থেকে স্পষ্ট বলতে শোনা গেছে, ‘টাকা লাগবে। ২৫০০-৩০০০ টাকা লাগবে। কারণ, রক্ত নেওয়ার পর সবাই ভুলে যায়।’ চঞ্চল মহাপাত্র নামে ওই সমাজকর্মী সবরকমভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তারপরও অজয় মহালির বক্তব্য, ‘সবই বুঝতে পারছি। কিন্তু ওটা লাগবে। ছেলেদের তো কিছু দিতে হবে।’
এদিকে অজয় মাহালির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও রাখঢাক না করেই জানান, এই এলাকার বেকার ছেলেরা নাস্তাপানির জন্য এই টাকা নিয়ে থাকে। সঙ্গে অজয় এও জানান, দরদাম করলে সামান্য টাকা কমতে পারে। তবে এটাকে ব্যবসা বলা যাবে না!