টিএমসিপি ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ভিন্ন ভূমিকায় রাজন্য়া

২১ জুলাইয়ের পর সোমবারও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যা হালদারকে। তবে এবার আর ঝাঁঝালো বক্তৃতা নয়, এদিন যেন একেবারে অন্য ভূমিকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.এড দ্বিতীয় বর্ষের এই পড়ুয়া। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশের শুরুতে গান পরিবেশন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি ‘জয়ী’ বাংলা ব্যান্ডের সদস্যরা। রাজন্যাও সেই বাংলা ব্যান্ডের অন্যতম সক্রিয় সদস্য। বাকি ব্যান্ড সদস্যদের সঙ্গে এদিন টিএমসিপি-র সভা মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করেন রাজন্যা।

প্রসঙ্গত, গত ২০২৩-র ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের মঞ্চে নাতিদীর্ঘ বক্তব্য রেখে নজরে আসেন টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যা হালদার। তৃণমূলের মেগা ইভেন্টের মঞ্চ থেকে উল্কার গতিতে উত্থান হয় সোনারপুরের বাসিন্দা এই তরুণীর। এরপর একাধিক দলীয় কর্মসূচিতে প্রথমসারিতে দেখা গিয়েছে রাজন্যাকে। সাম্প্রতিক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনায় টিএমসিপি-র বিক্ষোভ-আন্দোলনের সামনের সারিতেই ছিলেন এই তরুণী। বিশ্ববিদ্যালয়ের নব গঠিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের সভাপতির দায়িত্বও দেওয়া হয় রাজন্যাকে। এরও আগে যখন কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে চলতি বছর মার্চ মাসে ধর্মতলার রেড রোডে ধরনায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও উপস্থিত ছিলেন। রাজন্যাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ধরনা চলকালীন তাঁদের গান-গিটার শুনে মুগ্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশেই তৈরি হয় ‘জয়ী’ বাংলা ব্যান্ড। একাধিক সরকার অনুষ্ঠানেও এই বাংলা ব্যান্ডকে গান গাইতেও দেখা যায়। এরপর  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যায় ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানো সহ একাধিক দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিতে যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। রেজিস্ট্রারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সময় এসএফআই, এআইএসএ, এআইডিএসও-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বাম ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে টিএমসিপি যে স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিল তাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই বাধা দেওযার ঘটনায় রাজন্যাসহ একাধিক টিএমসিপি নেতা-কর্মীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এরপরই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় টিএমসিপি নেত্রীকে। তারপরই রাজন্যাকে রাজ্যের পাঁচতারা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব দেয় টিএমসিপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + 7 =