এবিভিপি-র গোলি মারো স্লোগানকে মোটেই ভাল চোখে যে নেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী দিবসের মঞ্চ থেকে। সোমবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে এবিভিপি-র এই স্লোগানে কড়া বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, এই ধরনের স্লোগান কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। জানালেন, তিনি পুলিশ-প্রশাসনকে বলে দিয়েছেন যাঁরা ‘গোলি মারো’ স্লোগান তুলেছেন, প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে।প্রসঙ্গত, যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে গত সপ্তাহে পথে নামতে দেখা গিয়েছিল এবিভিপিকে। বিজেপির যুব মোর্চাও আলাদা করে রাস্তায় নেমেছিল একই দিনে। বঙ্গের স্যাফ্রন ব্রিগেডের জোড়া মিছিলে উত্তাল হয়েছিল যাদবপুর চত্বর। আর এদিনের এবিভিপি-র এই মিছিল থেকেই শোনা যায় ‘গোলি মারো’ স্লোগান, এমনটাই অভিযোগ। এই ইস্যুতে শোরগোল পড়ে রাজ্য রাজনীতিতে।
যাদবপুরের হস্টেলে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু ঘিরে র্যাগিং-এর অভিযোগ ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। এই সব ঘটনার প্রতিবাদেই গত শুক্রবার মিছিল করেছিল এবিভিপি। যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুতে মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রীও। কিন্তু ‘গুলি মারার’ অধিকার যে কারও নেই, সেই বার্তাও স্পষ্ট করে দিলেন মমতা। বললেন, ‘যাদবপুরে বিক্ষোভ দেখাবি দেখা। আমার তো দুঃখের সীমা নেই। বিচার চাও। কিন্তু বিচার চাওয়ার পদ্ধতি এটা নয়, গোলি মারো। দেখি তো কত বড় সাহস। মার গোলি এখানে, আমি দেখছি তোদের।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী এও বুঝিয়ে দেন, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-মিছিল করার অধিকার থাকলেও, কাউকে গুলি মারার অধিকার কারও নেই।
এরই পাশাপাশি এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকে বাংলার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র ভোট করানোর বিষয়ে কথা বলছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়েই ছাত্র ভোট ঘিরে বিরোধী সংগঠনগুলি গোলমাল পাকাতে পারে, এমন আশঙ্কার কথাও শোনা যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির ১৪১ জন কর্মী খুন হয়েছেন। তাতে কতজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছেন? ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্ত করছে। পুলিশ তাতে অসহযোগিতা করছে, প্রমাণ লোপের চেষ্টা করছে।’