মুম্বইতে ইন্ডিয়া জোটের মেগা বৈঠকের দ্বিতীয় দিনের আলোচনা পর্ব শেষে সাংবাদিক সম্মেলন চলার মাঝেই মঞ্চ ছাড়লেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা এবং অভিষেক। সূত্রে খবর, এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ২৭টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বই। হঠাৎ-ই নজরে আসে একটি দল কম। এরপরই দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক সেখানে নেই। শুরু হয়ে যায় গুঞ্জন ও নানা জল্পনা।
এদিকে এরই মাঝে উদ্ধব ঠাকরে, মল্লিকার্জুন খাড়গে, নীতিশ কুমার, এম কে স্ট্যালিন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা বক্তব্য রেখে ফেলেছেন। পোডিয়ামে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে হঠাৎ তাঁর মুখে আসে মমতার নাম। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাঝেই মমতা দিদি রয়েছেন। তাঁর কথাও অবশ্যই উল্লেখ করব।’ তখনই সঞ্জয় রাউত সহ কয়েকজন বলে ওঠেন, ‘মমতাজি বেরিয়ে গিয়েছেন।’ খানিকটা হকচকিয়ে যান তিনি। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে এরপর লালু নিছক মজার ছলেই মন্তব্য করেন, ‘উনি যখন নেই তাহলে আমিও বা কেন রয়েছি এখানে।’
এদিকে বক্তা তালিকায় নাম ছিল তৃণমূল সুপ্রিমোরও। সূত্রের খবর, কোনও এক অজ্ঞাত কারণে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে যান। তাঁর সঙ্গে বৈঠক স্থল ছাড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যদিও তৃণমূল সুপ্রিমোর হঠাৎ কলকাতা চলে আসার কারণ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। কলকাতায় ফিরে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেননি মমতা বা অভিষেকও।
এদিকে সূত্রে খবর, জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে এদিন ইন্ডিয়া জোটের একাধিক দলের নেতৃত্বের মধ্যে মতানৈক্য দেখা যায়। ইন্ডিয়া জোটের রাজনৈতিক প্রস্তাব পাশের সময় এই ইস্যুতে অন্তর্গত করার প্রশ্ন ওঠে। জেডিইউ, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টির মতো দলগুলি জাতিভিত্তিক জনগণনার পক্ষে থাকলেও বিরোধিতা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে এই মতপার্থক্যের জেরে রাজনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা স্থগিত রাখা হয়। তবে এই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকের পর তড়িঘড়ি মুম্বই ছাড়েন কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকে তিনটি প্রস্তাব পাশ করায় ইন্ডিয়া জোট। ১৪ সদস্যের একটি কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা হয়। যেই কমিটিতে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, আগামীদিনে কোন ইস্যু নিয়ে প্রথম ইন্ডিয়া জোট প্রচারে নামবে তা নিয়েও সুর বেঁধে নেন রাহুল গান্ধি।