মাটিগাড়ায় কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাইছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, মাটিগাড়ার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে ইতিমধ্যেই সুপারিশ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার মাটিগাড়ায় যান রাজ্যপাল। নিহত স্কুল পড়ুয়ার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথাও বলেন। মাটিগাড়ার মাটিতে দাঁড়িই রাজ্যে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন রাজ্যপাল। সঙ্গে এও বলেছিলেন, ‘কন্যাদের নিরাপত্তা ছাড়া কন্যাশ্রী সফল হতে পারে না।’
রবিবার মাটিগাড়ায় নিহত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর, সোমবারই দিল্লিতে চলে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। আর এরপরই শুক্রবার রাজভবন সূত্র মারফত জানা যায়, মাটিগাড়ার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে সুপারিশ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মাটিগাড়ায় গত ২১ অগাস্ট। জঙ্গলের মধ্যে একটি পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে নাবালিকার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। যার গোটা শরীর ছিল রক্তাক্ত, মাথা থেঁতলানো। বীভৎসভাবে পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই নাবালিকার দেহ। এদিকে সূত্রে খবর, ওই কিশোরী স্কুল থেকে ফিরছিল। সেই সময়েই এক যুবক তাকে সাইকেলে বসিয়ে নিয়ে আসে বলে জানা যাচ্ছে। যে জায়গায় কিশোরীর দেহ পড়ে ছিল, সেখানে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। কিন্তু স্কুল থেকে বেরনোর পর যে পথে ওই কিশোরী এসেছিল, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। পুলিশ সূত্রে এখনও পর্যন্ত যা খবর, নাবালিকা ওই স্কুল পড়ুয়াকে যৌন হেনস্থা করার চেষ্টা হয়েছিল এবং তাতে বাধা দেওয়াতেই খুন করা হয় নাবালিকাকে। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজন অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে মাটিগাড়ার ওই ঘটনায় ক্রমেই তপ্ত হচ্ছে জেলার রাজনীতি। নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে মাটিগাড়ায় বিশাল মিছিল করে বিজেপি। রাস্তায় নামেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা, শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক রাজু বিস্তারা। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তরফেও ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এদিকে আবার রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় ও অ্যাডভাইজর অনন্যা চক্রবর্তীও মাটিগাড়ার কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আসেন।