‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে এবার সরব হতে দেখা গেল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিকে। কেন্দ্রের এই ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি। রাহুলের দাবি, ভারত আসলে রাজ্যের সমাহার। যুক্তরাজ্যে এক দেশ, এক নির্বাচন হলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্র্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স হ্যান্ডেলে অর্থাৎ টুইটার হ্যান্ডেলে কেন্দ্রের এই প্রস্তাবের নিন্দাও করেন রাহুল। ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের সমস্ত রাজ্যের উপর আক্রমণ বলে দাবি করেন তিনি। লেখেন, ‘ইন্ডিয়া, অর্থাৎ ভারত, যুক্তরাষ্ট্র। এক দেশ, এক নির্বাচনের ধারণাটি ভারত যুক্তরাষ্ট্র এবং এর সমস্ত রাজ্যের উপর আক্রমণ।’
প্রসঙ্গত, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদে বিশেষ ডাক দিয়েছে কেন্দ্র। তবে ওই বিশেষ অধিবেশনে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি মোদি সরকার। কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে। তবে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল সম্ভবত পেশ করা হতে পারে এবারের অধিবেশনে। এই গুঞ্জনের মধ্যেই ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত এক কমিটিও গড়েছে কেন্দ্র। এই কমিটির কাজ এই মুহূর্তে দেশে লোকসভা ও সব রাজ্যে বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করানো সম্ভব কি না তা খতিয়ে দেখা। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র।
এদিকে এই কমিটি নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কও। কমিটির অংশ হতে অস্বীকার করেছেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। ৮ সদস্যের কমিটি থেকে নিজের নাম প্রত্য়াহার করে নিয়েছেন কংগ্রেসের একমাত্র প্রতিনিধি। কংগ্রেস সার্বিভাবেই ‘এক দেশ এক নির্বাচন’-এর বিরোধিতা করেছে। রাজ্যসভার দলনেতা হওয়া সত্ত্বেও কেন মল্লিকার্জুন খাড়গেকে এই কমিটিতে রাখা হয়নি? উঠেছে সেই প্রশ্নও।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে গঠিত ৮ সদস্যের কমিটিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকেও রাখা হয়েছিল। তবে, শনিবার রাতে অমিত শাহকে চিঠি দিয়ে কমিটির অংশ হতে অস্বীকার করেন অধীর। চিঠিতে লেখেন এক দেশ, এক নির্বাচনের ধারণাকে সাংবিধানিক দিক থেকে সন্দেহজনক ও বাস্তবতার দিকে অসম্ভাব্য ও যৌক্তিকতার দিকে অবাস্তব বলে মনে হচ্ছে।
লোকসভার নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে আকস্মিকভাবে এই ধারণা নিয়ে চর্চা শুরু র পিছনেও গোপন অভিসন্ধি থাকতে পারে মনে হয়েছে তাঁর। এর পিছনে ‘সরকারের কোনও গোপন উদ্দেশ্য’ আছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। রবিবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও, এই কমিটি গঠনের সময় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।