শেয়ারন্টিং নিয়ে সচেতন করতে উদ্যোগ পুলিশ প্রশাসনের

সম্প্রতি, কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় শিশু অপহরণের খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে। কয়েকদিন আগে জলপাইগুড়ির এক স্কুল পড়ুয়াকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার একটি স্কুলেও থেকেও অপহরণ আতঙ্ক ছড়ায়। শুধু তাই নয়, খাস কলকাতাতেও এক পড়ুয়াকে স্কুল ছুটির পর বাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। ফলে রাজ্যের নয়া আতঙ্কের নাম এখন ‘ছেলে ধরা’ । এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের শেয়ারেন্টিং থেকে সচেতন করতে পথে নামল পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতর।

কারণ, বর্তমানে শিশুদের ছবি ভিডিয়ো যথেচ্ছ পরিমাণে শেয়ার করছেন অভিভাবকরা। এতে সন্তানদের ভয়ঙ্কর ক্ষতি হচ্ছে। ডিজিটাল কিডন্যাপিংয়ের প্রবণতা বাড়ছে। ছোটদের ছবি বিকৃত করে চলছে অপরাধ। নষ্ট হচ্ছে শিশুদের গোপনীয়তা। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে অনেক সময় এই শিশুদের ছবি ভিডিয়ো যথেচ্ছ পরিমাণে শেয়ার করার ফলে, শিশুদের গোপনীয়তা একদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে ঠিক সেরকমই অপরাধ জগতের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য চলে আসছে ওই শিশুটি কিংবা শিশুটির পরিবারের বিষয়ে।

অন্যদিকে এই বিষয়ে সতর্ক করছেন মনোবিদরাও। একটি পরিসংখ্যান বলছে , শিশুদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড এর প্রতি আকৃষ্ট। যার মধ্যে ৪০ শতাংশ নিজদের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়াতে। ৭ঘণ্টা ৩৩ মিনিট এর ও বেশী সময় তারা ব্যয় করে সোশ্যাল মিডিয়াতে। প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে প্রাক্তন পুলিশ কর্তাদের মত একই। একাধিক ভাবে সতর্ক থাকার কথা বলছেন তারাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − three =