গুলি বন্দুক দিয়ে নয়, পুরসভার আইন মেনেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হবে। ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কিছুটা কমলেও ডেঙ্গির প্রকোপ এবার অনেকটাই বেশি তা শনিবার মেনে নিতে দেখা যায় মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে এরপরই তিনি জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধের অ্যাকশন সব সময় নেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে মেয়র এও জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর এই সময় পর্যন্ত শহরে প্রায় ২০০০ ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা কম। তবে সেই অনুপাত ধরলে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাতশোর বেশি। পুরসভা সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ২৭০০ জন। সূত্রের খবর, গত বছর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই সংখ্যাটা ছিল প্রায় দু’হাজার। ডেঙ্গু চিন্তা বাড়ালেও এ বছর খানিকটা স্বস্তি দিয়েছে ম্যালেরিয়া। পুরসভার দেওয়া তথ্য বলছে, চলতি বছর ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৭৬ জন। এই সংখ্যাটা গত বছর ছিল ৭১৪১ জন।
এই প্রসঙ্গেই মেয়র জানান, ‘আমরা সব রকম চেষ্টা করছি। তবে মানুষকেও সচেতন হতে হবে। নিজের বাড়িতে জল জমানো চলবে না। পুর কর্মীদের সহযোগিতা করতে হবে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ম্যালেরিয়া অনেকটাই কম। তবে শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা বেশি।’
এদিকে শহরে কতজন ডেঙ্গুর জেরে মারা গিয়েছেন, তার স্পষ্ট হিসাব অবশ্য পুরসভা দিতে চাইছে না। এই প্রসঙ্গে পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় চৌধুরি জানান, এই বিষয়ে তাঁদের কিছু বলার নেই। কত জন ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন, তার প্রকৃত তথ্য দিতে পারবে স্বাস্থ্যভবন।
এদিকে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের খবর, গতবারের মতো এ বছরও শহরের দক্ষিণ ভাগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই দক্ষিণ-পূর্ব এবং দক্ষিণ কলকাতার। শহরের বেশিরভাগ ডেঙ্গি হচ্ছে, এমন ২৯টি ওয়ার্ড চিহ্নিত করেছে পুরসভা। যেখানে বাড়তি সার্ভেলান্স করা হচ্ছে। বাড়িগুলিতে পুর-কর্মীরা বেশি যাচ্ছেন। এই স্পর্শকাতর ওয়ার্ডগুলির মধ্যে উত্তর, মধ্য ও পূর্ব কলকাতার রয়েছে মাত্র ৫টি ওয়ার্ড। বাকি সবটাই দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতার মধ্যে পড়ছে। বিশেষত, বালিগঞ্জ, কসবা, যাদবপুর, বাইপাস সংলগ্ন বিভিন্ন ওয়ার্ড, হরিদেবপুর, পুটিয়ারি, বেহালা, ঠাকুরপুকুরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। বাড়তি নজরদারি ‘স্পর্শকাতর’ ২৯ ওয়ার্ডে।