ফ্ল্যাট প্রতারণায় নয়া তথ্য ইডি-র হাতে, নুসরতের দাবি ঘিরেও উঠল প্রশ্ন

‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’-এর নামে নয়া বেশ কিছু নতুন তথ্য এসেছে এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের তদন্তকারীদের হাতে।সূত্রে এ খবরও মিলছে, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ওই সংস্থার অডিট রিপোর্টে ‘নুসরত জাহান রুহি’র সই রয়েছে সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, সংস্থার সেই সময়ের ডিরেক্টর ব্যাঙ্ক কর্মীদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণার বিষয়ে তিনি কিছুই  জানতেন  কি না তা নিয়েই। এদিকে নুসরত কিন্তু প্রথম থেকেই দাবি করেছেন, এই সংস্থার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর পদে ছিলেন তিনি। এই সংস্থা কী ব্যবসা করে, কাদের সঙ্গে ব্যবসা করে, ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠনের সঙ্গে কী ডিল হয়েছিল, কিছুই জানেন না। ওই সংস্থা থেকে তিনি কোনও আর্থিক সুবিধাও নেননি। একবার ঋণ নিয়েছিলেন, তাও শোধ করে দেন।

এদিকে সংস্থার ব্যালান্স শিটেই দেখা যাচ্ছে সংস্থার অ্যাকাউন্টে ব্যাঙ্ক কর্মীদের কাছ থেকে নেওযা হয়েছে ২২ কোটি টাকা। নুসরতের উপস্থিতিতে বোর্ড মিটিংয়ে ব্যাঙ্ক কর্মীদের জমি বন্ধক দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে বলেও ইডি সূত্রে খবর। তাহলে নুসরতের দাবি ও বাস্তবিক যে ছবি,  সেখানে কোনও অসঙ্গতি রয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এই তথ্য হাতে আশার পর ইডির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ওই সংস্থার নথি দেখে প্রাথমিকভাবে অন্তত মনে হচ্ছে নুসরত সবটাই জানতেন। ফ্ল্যাট প্রতারণার তদন্তে আরও একাধিক সংস্থার নাম উঠে আসছে বলেও দাবি ইডির। বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে ঋণ দেওয়া নেওয়ার হদিশ মিলেছে তদন্তে। একাধিক ব্যক্তির নামও এসেছে এই ঋণ দেওয়া নেওয়ার তালিকায়। এরমধ্যে আবার দু’টি সংস্থায় রাকেশ সিং ও রূপলেখার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বলেও ইডি সূত্রে খবর। এরই রেশ ধরে এ প্রশ্নও উঠেছে, ঋণের আড়ালে টাকা পাচার হত কি না তা নিয়েও। ইডি সূত্রে এ খবরও মিলছে যে, আগামী সপ্তাহে রাকেশকে ফের তলবের সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, এর আগে তাঁকে ডাকা হলেও হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। আরও নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে রূপলেখার কাছ থেকেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − three =