জোড়া ফলায় প্রবল বৃষ্টিতে ভাসতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা, এমনটাই খবর আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখা বিহারের পর দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এদিকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এই ঘূর্ণাবর্ত উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই দুই সিস্টেমের জোড়া ফলায় সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। উপকূলের জেলা-সহ কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বুধবারের মধ্যে।
কলকাতাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কয়েক পশলা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা মঙ্গল ও বুধবার। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। এই বৃষ্টির জেরে আগামী দু’দিনে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। এরপর শুক্রবারের পর থেকে তাপমাত্রা বাড়বে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৮৩ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৭ শতাংশ। শনি থেকে রবিবার গত এই ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্র ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তরবঙ্গেও বুধবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে উত্তরবঙ্গে। বুধবারে দার্জিলিং কালিম্পং-সহ পার্বত্য এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে বৃহস্পতি ও শুক্রবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুরের কিছু অংশে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি পঁচিশ শতাংশ। বৃষ্টির এই স্পেলে দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টির ঘাটতি কমার সম্ভাবনা খুব কম বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে বৃষ্টি চলবে, এ কথা জানিযেছেন আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।