আধার কার্ডকে হাতিয়ার করে একের পর এক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার ৬৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে কলকাতা পুলিশে। শুধু কলকাতা কেন, এ রাজ্যের একাধিক জেলা থেকেও একই অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। আধার কার্ডের জন্য উপভোক্তার যে সমস্ত বায়োমেট্রিক প্রমাণ সংগৃহীত হয়, সেগুলিকে কাজে লাগিয়েই এই প্রতারণার ফাঁদ পাতা হচ্ছে। আর এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকেও দেওয়া হচ্ছে সচেতনতার বার্তা। কারণ, এই ধরনের ঘটনায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন আম-জনতা। আর কেস স্টাডি করলে এটাও দেখা যাচ্ছে যে প্রতারকেরা মূলত বেছে নিচ্ছেন প্রবীণ নাগরিকদেরই। তবে এই ধরনের ঘটনায় চিন্তিত কলকাতা পুলিশের কর্তারা। এখন তাঁদের মূল লক্ষ্য হল এই ধরনের প্রতারণার ঘটনার পরিস্থিতি-ই যাতে উদ্ভব না হয় তা ঠেকানো।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী জানান, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতারণার ঘটনা মূলত প্রত্যন্ত এলাকা থেকে হচ্ছে। তবে এই ধরনের প্রতারণা যে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সংঘটিত হচ্ছে তা নয়, এমন ঘটনার খবর মিলছে ভিন রাজ্য থেকেও।’ একইসঙ্গে তিনি এও জানান, শুধু কলকাতা কেন, এ রাজ্যের একাধিক জেলা থেকেও একই অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। আধার কার্ডের জন্য উপভোক্তার যে সমস্ত বায়োমেট্রিক প্রমাণ সংগৃহীত হয়, সেগুলিকে কাজে লাগিয়েই এই প্রতারণার ফাঁদ পাতা হচ্ছে।
এদিকে এই আর্খিক প্রতারণা সম্পর্কে কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েলও পরামর্শ দেন কলকাতাবাসীর উদ্দেশ্যে। তিনি আশ্বাসের সুরেই জানান, ‘কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল যথেষ্ট তৎপর হয়ে কাজ করছে। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করছে। এমআধার অ্যাপ্লিকেশনকে ডাউনলোড করে বায়োমেট্রিককে লক করতে হবে। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে দ্রুত অভিযোগ জানান। আমাদের নজরে আসলেই আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। আমরা মানুষকে যেমন সচেতন করছি, পাশাপাশি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি।’