জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গি দমন অভিযানে বড়সড় সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর। গুলিতে নিকেশ তিন জঙ্গি। সূত্রে খবর মিলছে, এদের মধ্যে একজন লস্করের কমান্ডারও রয়েছে। তবে বাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে গুলির লড়াই শেষ হলেও তল্লাশি অভিযান চলবে। এদিকে কাশ্মীর পুলিশের তরফ থেকে অনন্তনাগে লস্কর-ই- তৈবা (এলইটি) কমান্ডার উজের খান সহ দুই জঙ্গি খতমের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে কাশ্মীর পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, লস্কর কমান্ডারের দেহ উদ্ধার করা হলেও অন্য জঙ্গির দেহ উদ্ধার করা যায়নি। তবে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবার ওই জঙ্গির দেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে বলে জানান তিনি। এরই পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেন, মোট তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। সঙ্গে বিজয় কুমার এও জানান, যে দুই জঙ্গি নিকেশের সঙ্গে সঙ্গে অনন্তনাগের গাদোল বনাঞ্চলে সেনা-জঙ্গি গুলির শেষ হয়।
এরই পাশাপাশি কাশ্মীর পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি এও জানান, বাহিনীর কাছে দুই থেকে তিনজন সন্ত্রাসবাদীর এই অঞ্চলে গা ঢাকা দিয়ে থাকার খবর ছিল। দুই জনের পাশাপাশি তৃতীয় জনেরও মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। আর এই তৃতীয় সন্ত্রাসবাদীর দেহ বনের কোথাও দেহটি পড়ে থাকতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি। গুলি বিনিময়ের পর যে অনুসন্ধান অভিযান চলছে বাহিনীর তরফ থেকে তা শেষ হলে জানা যাবে বলেই জানান তিনি।
এরই পাশাপাশি বিজয় কুমার এও জানান, এখনও একটি বিশাল এলাকা আছে, যার অনুসন্ধান করা বাকি। সেখানে জঙ্গিদের ফেলে আসা প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ থাকতে পারে বলে সন্দেহ তাঁর। সেগুলি উদ্ধারের পর ধ্বংস করা হবে বলেও জানান তিনি। তার আগে এই সব জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে না যায় তার আবেদনও করেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার অনন্তনাগে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর দুই কর্তা সহ পুলিশের এক আধিকারিকের মৃত্যু হয়। পরে তল্লাশি অভিযানের সময় আরও একজন জওয়ানের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ঘটনায় মোট চারজনের মৃত্যু হয়। এরপর জঙ্গিদের নিকেশ করার জন্য টানা সাতদিন ধরে অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। উল্লেখ্য, নিরাপত্তাবাহিনীর চার কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় কাশ্মীর জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। পাকিস্তান বিরোধী বিক্ষোভে সামিল হয় বিভিন্ন সংগঠন। বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে পাক বিরোধী স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি পোড়ানো হয় পতাকাও। সেই সঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর জঙ্গি ঘাঁটিগুলি গুড়িয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে করা হয় আবেদনও।