দমদমের নাগের বাজার এলাকার নয়াপট্টি থেকে উদ্ধার হল এক বৃদ্ধের পচাগলা দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম কল্যাণ ভট্টাচার্য। বছর ৭২-এর কল্যাণবাবু একাই থাকতেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আত্মীয়রা বেশির ভাগই থাকেন বাইরে। কয়েকজন আত্মীয় থাকেন সল্টলেক এলাকায়। মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁর আত্মীয়রা তাঁকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। সেই সময় তাঁরাই এই বাগানবাড়িতে গিয়ে খোঁজ শুরু করেন। বাগানবাড়ির দরজার বাইরে থেকেই দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। ঘরের ভেতর থেকে পচা দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। এরপরই তাঁরা নাগেরবাজার থানায় খবর দেয়। এরপর নাগের বাজার থানার পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করে কল্যাণবাবুর পচাগলা দেহ। ঠিক কী কারণে কল্যাণবাবুর মৃত্যু হয়েছে তা বুঝতে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করার পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে উধাও তাঁর বিএমডব্লউ গাড়ি। একইসঙ্গে উধাও তাঁর পোষ্যটিও।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে নাগের বাজার থানার পুলিশ। কিন্তু কেন দরজার বাইরে থেকে তালা বন্ধ ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়িতে থাকা মূল্যবান সামগ্রী অক্ষত। যা নিয়েই রহস্য তৈরি হয়েছে। মৃত ব্যক্তির আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। সম্পত্তিগত কোনও কারণে বিবাদের জেরে এই ঘটনা কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
এদিকে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রতিবেশীদের দাবি, কারও সঙ্গে সেভাবে মেলামেশা করতেন না তিনি। গত রবিবার সন্ধেয় এক অপরিচিত যুবক বৃদ্ধের বাড়ি লাগোয়া চায়ের দোকানে আসেন। বৃদ্ধের বাড়িতে ঢোকার বিকল্প রাস্তার খোঁজ করে। বাড়িতে ঢোকার কিছুক্ষণ পর গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায় সে। ওই যুবকই কী খুন করেছে বৃদ্ধকে, সেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অজয় প্রসাদ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ওই যুবককে শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে বলেও জানা গেছে।
এদিকে দমদমের এই ঘটনায় ব্যারাকপুর কমিশনারেটের কমিশনার অলোক রাজোরিয়া এখনই মুখ খুলতে চাননি। তবে তিনি জানান, তদন্ত একেবারে প্রথামিক স্তরে রয়েছে। আশা করা য়ায় খুব দ্রুত এই ঘটনার নিষ্পত্তি হবে।