টেট-এ ফেল করেও প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছিল আরও ৯৬ জন। বৃহস্পতিবার আদালতে দেওয়া সিবিআইয়ের রিপোর্ট কার্যত স্বীকার করে নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এর আগে ২৬৫ জন টেট অনুত্তীর্ণের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যদিও সেই চাকরি বাতিলের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার আদালত নির্দেশ দেয়, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই এবং ইডির অফিসাররা এবার পর্ষদের অফিসে যাবেন। অর্থাৎ এবার কেন্দ্রীয় জোড়া ফলার আক্রমণের মুখে পড়তে চলেছে পর্ষদ। তদন্তে নেমে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা এবার খতিয়ে দেখবেন, ওএমআর শিট ডিজিটাইজড করার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছিলেন বা কেনই বা নিয়েছিলেন তাও। সঙ্গে এও তদন্ত করে দেখা হবে কোন প্রক্রিয়ায় তা ডিজিটাইজড করা হয়েছিল সেটিও। এরই পাশাপাশি, তদন্তকারীদের সব রকমের সাহায্য করারও নির্দেশ দেওয়া হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। আগামী ১০ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি। ১০ অক্টোবরই রিপোর্ট পেশ করবে সিবিআই।
এদিকে, ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার মেধাতালিকা নিয়েও দেখা দিয়েছে সমস্যা৷ ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার কারণে সম্প্রতি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে পর্ষদ। সাইট হ্যাকের কারণে তা প্রত্যাহার করা হয়৷ সেই পুলিশে অভিযোগের পরিণতি কী, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করে জানতে চেয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর মধ্যে এই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।