‘ইডি-কে এখন নয়, প্রথম তলবেই সমস্ত সম্পত্তির তথ্য দেওয়া রয়েছে।’ বৃহস্পতিবার ঠিক এমনটাই জানালেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার নাম উঠতে সেই সংস্থার সমস্ত সদস্য, ডিরেক্টর, সিইও সহ সকলের সম্পত্তির খতিয়ান তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সমস্ত সদস্যদের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গেই এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন তাঁর অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তির তথ্য যে প্রথম তলবেই ইডিকে দেওয়া হয়েছিল তা জানান তিনি। এরই পাশাপাশি তিনি এও জানান, ‘ইডি ও সিবিআই আমাকে ও আমার স্ত্রীকে বারবার তলব করেছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত আমি নিজে তলবে পাঁচবার হাজিরা দিয়েছি। আমার স্ত্রী তিনবার গিয়েছেন। প্রথমবারই সমস্ত ব্যাঙ্কের লেনদেন ও সম্পত্তির তথ্য আমি ইডি-কে দিয়েছিলাম।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি অভিযোগ করেন, বারবার ডেকে একই প্রশ্ন করে হয়রান করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এ অভিযোগও করেন, তাঁকে হয়রান করতেই ইচ্ছা করেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থায় তল্লাশির চলাকালীন ১৬ টি ফাইল ডাউনলোড করেছিল ইডি। পরে সেই তথ্য কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছিল ইডি বলে অভিযোগ অভিষেকের।
১৩ সেপ্টেম্বর ইডির ডাকে হাজিরা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে আবারও তিনি বলেন, ‘বারবার একই প্রশ্ন করা হয়। প্রথমদিন যা জিজ্ঞেস করেছিল, তাই জিজ্ঞেস করে। সেদিন যা বলেছিলাম তাই বললাম। আমি তো বারবার বলছি আমার কিছু লুকোনোর নেই। ভোট এলেই আবার ডাকবে। আবার ২ মাস বাদে ডাকবে। তখন ডাকলে মাইনাস ৪ হবে।’
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর, সিইও এবং এই সংস্থার সঙ্গে জড়িত সকলের সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য এদিন আদালতে জমা দেয় ইডি। ইডি-র পেশ করা সম্পত্তির খতিয়ান দেখার পর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি সিনহা। তিনি বলেন, ‘গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মাত্র একজন এই মামলার সঙ্গে জড়িত, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’ যদিও ইডি জানান ওই ব্যক্তি সমস্ত টাকা ফেরত দিয়েছেন।