নিপা নিয়ে নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্যভবনের

কেরলে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে চিন্তায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও। সংক্রমণ যাতে রাজ্যে ছড়িয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে তৎপর স্বাস্থ্যভবন। আর এই প্রসঙ্গে অ্যাকিউট এনসেফালাইটিসের উপর নজরদারি আরও বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। সঙ্গে এ নির্দেশও দেওয়া হয়েছে, কোনও রোগীর শরীরের অস্বাভাবিক কোনও কিছু দেখলে তা যেন আরও ভাল করে খতিয়ে দেখা হয়। যেমন কারও জ্বর বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকলে এবং ওই ব্যক্তি যদি গত ২১ দিনের মধ্যে কেরলার এর্নাকুলমে গিয়ে থাকেন, তাহলে দ্রুত তাঁর পরীক্ষা করানোর জন্য বলা হয়েছে।

এরই পাশাপাশি বাংলায় নিপার সংক্রমণ ঠেকাতে একগুচ্ছ নিয়ম জারি করেছে স্বাস্থ্যভবন। নিপা মারাত্মক রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস। বাদুড়, শুয়োর থেকে মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ায়। ঠোকরানো ফল, খেজুরের রস থেকে ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে যায়। আক্রান্ত ব্যক্তি বা প্রাণীর সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর সংস্পর্শে এলে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই মাস্ক পরিয়ে রাখতে হবে। রোগ প্রতিরোধের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। অস্বাভাবিক কোনও উপসর্গ দেখলেই রোগ নির্ণয়ে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কী কী করণীয়, সেই সংক্রান্ত বিষয়েও সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য ভবন। অসুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, যে কোনও ফল খাওয়ার আগে ভাল করে ধুয়ে নেওয়া, আধ খাওয়া কোনো ফল না খাওয়া, গাছের নীচে পড়ে থাকা কোনও ফল না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খেজুরের কাঁচা রসও না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবন।

প্রসঙ্গত, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ইতিমধ্যেই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে এক রোগীকে ভর্তি রাখা হয়েছে। তাঁর নমুনাও পরীক্ষা করে দেখার জন্য পুণের এনআইভিতে পাঠানো হয়েছে বেলেঘাটা আইডি থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × two =