ডেঙ্গুর কবলে প্রাণ গেল শহরের আরও দুজনের

শহরে আরও দুই ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যু।  বছর আটাত্তরের কল্পনা দত্তের মৃত্যু হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বৃদ্ধা।  বৃহস্পতিবার রাতে মুকুন্দপুরের হাসপাতালেই মৃত্যু হয়। বাঘাযতীনের বাসিন্দার ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গুর উল্লেখ রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মোট তিনজনের মৃত্যু।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতেই সল্টলেকের এই ব্লকের এক ডেঙ্গু আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। নার্সিংহোম সূত্রে খবর, মৃতের নাম পিনাক সরকার। বছর ৬৬-র পিনাকবাবু জ্বর নিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর বৃহস্পতিবার রাত্রি ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ মারা যান। মৃত্যুর কারণ হিসাবে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গুর কথাই উল্লেখ করা হয়েছে নার্সিংহোমের তরফে। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিধাননগর পৌরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সব্যসাচী দত্ত জানান, ‘এটা দুর্ভাগ্য যে আমার ওয়ার্ডেরই একজন প্রাণ হারিয়েছেন। সচেতনতার প্রচার বারবার চালানো হয়েছে। আবারও বলছি নিজের বাড়ি পরিষ্কার রাখুন পাশের মানুষজনদেরও পরিষ্কার রাখার অনুরোধ করুন।’ বৃহস্পতিবার রাতেই আবার মেদিনীপুর ও খড়্গপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রে খবর।

এদিকে শুক্রবার কলকাতার মেয়র যা তথ্য দিলেন, তাতে আরও বেশি চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য কর্তাদের কপালে। মেয়র জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে যেখানে ২৭০০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন। সেটা ১১০০ বেড়েছে। বর্তমানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮০২ জন। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, কলকাতা পুরসভা ডেঙ্গি দমনে সর্বোতভাবে চেষ্টা করছে, একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে বলেও জানান ফিরহাদ। এদিকে সরকারি দফতর, পি ডব্লুউডি-র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। সেখানে ফিরহাদ হাকিমের স্পষ্ট বার্তা, সকলেই নোটিস ধরানো হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, নোটিস ধরিয়ে আদৌ কি ডেঙ্গি পরিস্থিতি বদলাবে কি না তা নিয়েই।

যদিও একটি বিষয় উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় কোনও গাফিলতির অভিযোগ ওঠেনি। সমস্যা দুটো। চিকিৎসকরা বলছেন, আক্রান্তরা অনেকটাই দেরিতে হাসপাতালে আসছেন। তখন চিকিৎসা করাটাই সমস্যার হয়ে যাচ্ছে।  দুই, প্লেটলেট হঠাৎ করেই নেমে যাচ্ছে। কিন্তু তা নিয়ে স্বাস্থ্য কর্তাদের আলোচনা কোথাও গিয়ে অসম্পূর্ণই থেকে যাচ্ছে। অন্যদিকে, নাগরিকদেরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 + 4 =