শাসক দলের কর্মীদের কোন পথে চলা উচিত, তা নিয়ে এবার বিশেষ ক্লাস নেওয়ার পক্ষে তৃণমূলের বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি তৃণমূলের নিচুতলার একাধিক নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে রয়েছে আর্থিক তছরুপেরও অভিযোগ।এমন অবস্থায় দলের নীচু তলার কর্মীদের সঠিক পথ থেকে বিচ্যুতি রুখতে ধারাবাহিকভাবে ক্লাস নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন শোভনদেব।
তবে এদিন একটু বিরক্ত-ই দেখায় পরিষদীয় মন্ত্রীকে। সংখ্যায় কম হলেও, শাসক দলের একাংশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠে আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শোভনদেব জানান, ‘এটাকে আমি দুঃস্বপ্ন বলে মনে করি। আমরা একটা আদর্শ নিয়ে দল করি। সেই জায়গায় এই বিচ্যূতিগুলি আমাদেরই আটকাতে হবে। যাঁরা বিপথগামী হচ্ছেন, দলের সিনিয়র নেতাদেরই তাঁদের আটকাতে হবে। জেলায় জেলায় মিটিং করে, ওরিয়েন্টেশন করে, তাঁদের বোঝাতে হবে। আমি খড়দায় প্রতিনিয়ত এই কাজ করে যাই।’
এরই পাশাপাশি তৃণমূলের বর্ষীয়ান বিধায়ক এও জানান, ‘মানুষের মধ্যে দুটি প্রবৃত্তি থাকে- দেবত্ব ও পশুত্ব। এই দুইয়ের মধ্যে অবিরাম লড়াই চলতে থাকে। যখন পশুত্ব জেতে, তখন মানুষ অন্যায়ের পথে পা দেয়। আর যখন দেবত্ব জেতে, তখন মানুষ শুভবুদ্ধিসম্পন্ন হয়।’ এরই রেশ টেনে বিধায়ক শোভনদেব এও জানান, সমাজে ভাল-খারাপ উভয়ই আছে। সেই সমাজ থেকেই মানুষ রাজনীতিতে আসে। যাঁরা রাজনীতিতে আসেন, তাঁরা সমাজের বাইরের কেউ নন। এমন অবস্থায় তাই সঠিক পথ বা দিশা থেকে দলীয় কর্মীদের বিচ্যূতি ঠেকাতে দলকে প্রতিনিয়ত ধারাবাহিকভাবে কর্মীদের ওরিয়েন্টেশন করার প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।