ঘর ছাড়তে রাজি না হওয়ায় শ্লীলতাহানির চেষ্টা

উত্তর কলকাতায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে প্রোমোটারের দাপট। সঙ্গে ছুটছাট ঘর ছাড়া বা বাড়ি থেকে উৎখাত করার হুমকিও লেগেই আছে। সব জেনেও নাকি উদাসীন পুলিশের ওপরের তলরা কর্তারা, এমন অভিযোগও শোন যাচ্ছে মানিকতলা এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে। এমনই এক ঘটনায় বাড়ি ছাড়তে নারাজ হওয়ায় এবার রোষের মুখে দুই যুবতী। অভিযোগ, বারে বারে আসছে হুমকি। এমনকী, রাস্তাতে দুই বোনকে মারধর, শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ দায়ের হয় নারকেলডাঙা থানা এলাকায়। সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতেও দুই বোনের ওপরর চড়াও হয় পাড়ার তিন যুবক, যাদের মধ্যে দু’জন খোদ ওই দুই যুবতীর পাশের ঘরেই থাকেন। এরপর ওই দুই বোনের করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শ্লীলতাহানি, মারধরের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ।পাশাপাশি ব্যবস্থা করা হয় শিয়ালদহ আদালতে দুই বোনের গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করারও।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ২২৩/১/১০ মানিকতলা মেইন রোডের বাড়িতেই জন্ম এই দুই যুবতীর। বাবার মৃত্যুর পর মাকে নিয়েই থাকেন তারা। তাঁদের অভিযোগ ওই বাড়িতেই একটি ঘরে থাকা এক যুবক এলাকার আরও দুই যুবককে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিচ্ছেন ওই দুই যুবতীকে। এমনকী, রাস্তাতে আগেও পথ আটকে শাসানো অশালীন আচরণও করেছেন ওই তিন যুবক অভিযোগ। এরপর মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ এলাকার এক মোবাইল দোকান থেকে ফেরার পথে জয়দেব মান্না, রবি মান্না ও সমীর দোলুই ওই দুই যুবতীর পথ আটকায় বলে অভিযোগ। এরপর ফের বাড়ি খালি করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে দুই যুবতীর জামা ছিঁড়ে দেয়। সঙ্গে করা হয় মারধরও। এরপরই দুই যুবতী এনআরএস হাসপাতালে মেডিক্যাল করে নারকেল ডাঙা থানাতে অভিযোগ করতে যান।

এই প্রসঙ্গে ওই দুই যুবতী এও জানান যে, এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, থানায় গিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে অভিযোগ নেওয়া হয়নি। বরং নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে বলা হয়েছিল নারকেলডাঙা থানার পক্ষ থেকে। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনার পর তারা লিখিত অভিযোগ জমা দিলেও কোনও রিসিভ করে দেয়নি থানা। বুধবার সকালে ফের থানায় আসতে বলা হয়। বুধবার সকালে থানায় গেলে তাদের জানানো হয় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কিন্তু কেন তাদের ঘর ছেড়ে উঠে যেতে বলা হচ্ছে তা এখনও তাদের কাছে স্পষ্ট নয় বলে দাবি দুই নির্যাতিতার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 4 =