মিথিলেশ দায়িত্ব নেওয়ার পরই সাফল্য পেয়েছিল ইডি

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসিত ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্ব থেকে ইডির অফিসার মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিতে দেখা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে। শুধু তাই নয়, রাজ্যের কোনও মামলার তদন্তেই তাঁকে না রাখার জন্য বলেছেন বিচারপতি। ইডির এই অফিসার আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন বলেই মনে করছে আদালত।

তবে এই মিথিলেশ কুমার দায়িত্ব নেওযার পর ইডির হাতে ধরা পড়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা। সেই সঙ্গে প্রায় ৫০ কোটি টাকার সন্ধান। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের অপর এক বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারি-সহ মোট ৭ জন প্রভাবশালী অভিযুক্তর গ্রেফতারিও হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডি এখনও পর্যন্ত পাঁচটি চার্জশিট জমা দিয়েছে। তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন এখনও পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে প্রায় ১৪৬ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর মধ্যে প্রায় ১২৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

এই মিথিলেশ কুমার মিশ্র সরাসরি ইডি ক্যাডারের অফিসার। অন্য কোনও ক্যাডার অর্থাৎ কাস্টমস বা জিএসটি থেকে ডেপুটেশনে আসেননি। বাংলায় এর আগেও কাজ করেছেন তিনি। ২০১৪-১৫ সাল নাগাদ চিটফান্ড মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কলকাতা শাখায় একজন অ্য়াসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের সহযোগী ছিলেন মিথিলেশ। পরে ২০১৮ সালে তিনি বদলি হয়ে যান রাঁচিতে। এরপর ২০২০-২১ সালে তিনি আবার ফিরে আসেন কলকাতার অফিসে। এবার তিনি ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার। তারপর ২০২২ সাল থেকে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের দায়িত্বে আসেন মিথিলেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − 6 =