এবার থেকে আর রাজ্যের কোনও ক্লাবকেই উন্নয়নের জন্য আর কোনও আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে না, এমনই সিদ্ধান্ত নবান্নের। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালের পর থেকে এই খাতে কোনও অর্থ রাজ্যের একটি ক্লাবকেও দেওয়া হয়নি বলে সূত্রে খবর মিলেছে। প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যের ক্লাবগুলিকে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য অনুদান দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয় বিরোধী শিবির। ক্লাবগুলিতে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টাতেও অভিযোগ ওঠে।যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ২০১২ সালে নির্দিষ্ট কিছু ক্লাবকে বছরে একবার দুই লাখ এবং পরের তিন বছর এক লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমবারে সাড়ে সাতশোর বেশি ক্লাবকে এই খাতে নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। আর ক্লাবের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১৫ কোটি। পরে সংশ্লিষ্ট বছরেও আরও দেড় হাজার ক্লাবকে এর আওতায় আনা হয়। সেই কারণে আরও ৪০ কোটি বরাদ্দ করতে হয়েছিল। এই ইস্যুতেই শাসকদলকে বিদ্ধ করেন বিরোধীরা। গোটা বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লাগানোর অভিযোগ ওঠে। ফলে শাসক-বিরোধী শিবের শুরু হয় রাজনৈতিক তরজাও।
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে, সর্বশেষ ২০১৯ সালে এই ক্লাবগুলির নাম তোলা হয়। যদিও এরপর নতুন করে এই অনুদান দেওয়া হয়নি। এবার তা পুরোপুরিভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। কিন্তু, হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এদিকে সূত্রে এ খবর মিলছে, যে সমস্ত ক্লাবগুলিকে এই অর্থ দেওয়া হচ্ছে তাদের একটি ইউটেলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। যেখানে লেখা থাকবে কী ভাবে এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু, পরবর্তীতে দেখা যায় অধিকাংশ ক্লাবের বিরুদ্ধেই এই অর্থ নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। এরপৎই বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের। এরপরেই প্রশাসনিক স্তরেও এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই কারণের জন্যই সংশ্লিষ্ট খাতে অনুদান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যদিও এই নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া সম্ভব হয়নি।