নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্তের মাঝে ফের সামনে এল চাকরি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। এবার প্রতারণার কেন্দ্রবিন্দুতে স্বাস্থ্য ভবন। মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে এমনই প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে তিন যুবককে গ্রেফতার করল বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। সূত্রে খবর, চাকরির টোপ দিয়ে নদিয়ার গাংনাপুরের বাসিন্দা রশিদ মণ্ডলের কাছ থেকে কয়েক দফায় তিন লক্ষ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। বারবার টাকা ফেরতের দাবি জানালেও তা আর ফেরত দেওয়া হয়নি। শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন প্রতারিত যুবক।
পুলিশের কাছে অভিযোগে জানানো হয়েছে তাতে রশিদকে স্বাস্থ্য ভবনের গ্রুপ-ডি কর্মীর চাকরি দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।এরপর দফায় দফায় নেওয়া হয় টাকা। টাকা নেয় অশোক রায়, তানভির আলম এবং পাপাই শর্মা নামে তিন যুবক। এরাই মোবাইলে ভুয়ো এসএমএস পাঠিয়ে চাকরি হয়ে গিয়েছে বলে জানান রশিদকে। তাঁদের কথায় বিশ্বাস করে দফায় দফায় কয়েক লক্ষ টাকা দেন রশিদ। কিন্তু, তখনও তিনি জানতেন না তিনি প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন।
এদিকে দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও চাকরিতে যোগ দিতে পারেননি নদিয়ার ওই বাসিন্দা। তাতেই তাঁর সন্দেহ বাড়তে থাকে। শেষে ওই তিন যুবকের সঙ্গে ফের কথা বলতেই বুঝতে পারেন তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। টাকা ফেরত চাইলেও তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। বিধাননগর দক্ষিণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তিন যুবককে। এদিন তাদের বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। তবে ধৃতরা বড় কোনও প্রতারণা বা দুর্নীতির চক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।