ফের মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জায় আহত এক বাইক চালক। পুলিশ সূত্রে খবর, আহত ব্যক্তির নাম আরিফ। তিনি পিনকিক গার্ডেনের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, সকালে বাইক নিয়ে মা ফ্লাইওভার ধরে ভবানীপুরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বাইকের গতিবেগ স্বাভাবিক ছিল। আচমকাই ফ্লাইওভারের ওপরে গলায় টান পড়ে তাঁর। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাইক নিয়ে বেসামাল হয়ে পড়ে যান। তবে হেলমেট থাকায় আঘাত বিশেষ গুরুতর হয়নি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। গলায় সামান্য ক্ষত তৈরি হয়েছে তাঁর। বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তি পরে নিজেই উঠে সেই চিনা মাঞ্জা ছিড়ে ফেলে দেন। আশপাশের গাড়িচালকরা দ্রুত এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, মাথায় হেলমেট থাকায় তিনি রক্ষা পান।তবে তাঁর হাঁটুতে চোট লেগেছে। এদিনের এই ঘটনায় স্পষ্ট য়ে, আবারও মা ফ্লাইওভারে চিনা মাঞ্জার আতঙ্ক ফিরেছে। এর আগেও চিনা মাঞ্জায় মা ফ্লাইওভারে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত জানুয়ারিতেও ঠিক একই ভাবে কাজে যাওয়ার পথে চিনা মাঞ্জায় আহত হন এক বাইক চালক। তিনিও বাইক থেকে পড়ে যান। তাঁর ডান চোখে মারাত্মক আঘাত লাগে। বছর তেইশের ওই যুবক বজবজের বাসিন্দা ছিলেন। এর আগে স্ত্রীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পথে চিনা মাঞ্জায় গুরুতর আহত হন এক ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রীয়েরও গলায় ক্ষত তৈরি হয়ে প্রবল রক্তক্ষরণের জেরে তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
এদিকে গত বছরই লালবাজারের তরফে বিশেষ পদক্ষেপ করা হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নির্দেশ যায় প্রতিটি ডিভিশনেও। ঘুড়ি ওড়ানোর প্রবণতা বেশি, এমন এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারিরও ব্যবস্থা করা হয়। শহরের একাধিক উড়ালপুলের বিপজ্জনক অংশে ঘুড়ির কাটা সুতো ধরতে পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করা হয়। তবে তাতে কাজের কাজ যে কিছুই হচ্ছে না এটা স্পষ্ট একের পর এক ঘটনায়।চিনা মাঞ্জা নিয়ে কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ কলকাতা পুলিশ। কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেই যা দেখলে কিছুটা হলেও ভীত হতে পারে এই ঘুড়িপ্রেমীরা। আর কলকাতা পুলিশের ইচ্ছে থাকলে সবই করতে পারে। তবে সেখানে সদিচ্ছার ভড়ই অভাব বলেই মনে করছেন তিলোত্তমাবাসীর বড় এক অংশ।