নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’ নামে সংস্থার ভূমিকা খতিয়ে দেখতে এবার আরও তৎপর হয়ে উঠল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার তারা খতিয়ে দেখতে চায় অভিষেক, রুজিরা এবং সুজয়কৃষ্ণের অর্থের উৎস। আর তা খতিয়ে দেখতে এনএসডিএলকে বিভিন্ন তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হল ইডির তরফ থেকে। সেখান থেকে তথ্য মিললেই স্বাভাবিক ভাবেই চলে আসবে তাঁদের যাবতীয় ব্যয়ের হিসেবও। এর আগেই লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস নামক এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তিকে তলব করা হয় দফতরে। এরই পাশাপাশি গ্রেফতারও করা হয় ওই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। এবার তাঁদের আয়-ব্যয়ের উৎস ও সম্পত্তি সম্পর্কে জানতে আরও এক নয়া পদক্ষেপ ইডির।
সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলায় যে নথি জমা দিয়েছেন, সেগুলি খতিয়ে দেখতে এবার মুম্বইতে এনএসডিএল-এর অফিসে চিঠি পাঠানো হল ইডি-র তরফ থেকে। সঙ্গে ইডির তরফ থেকে এও জানা যাচ্ছে, এই সংস্থার সঙ্গে যাঁদের নাম জড়িয়ে আছে, তাঁদের প্যান কার্ড খতিয়ে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই এই মামলায় তলব করা হলে ইডি দফতরে গিয়ে সাড়ে ৫ হাজার পাতার নথি জমা দেন অভিষেক। সেই তথ্য মিলিয়ে দেখার কথা ইডি-র। সূত্রের খবর, সেই কাজই শুরু করেছে ইডি। আর তারই রেশ ধরে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, অভিষেক জায়া রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের ব্যক্তিগত প্যান কার্ড এবং ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার প্যান কার্ড সম্পর্কিত তথ্য জানতেই প্যান কার্ডে নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি ডিপোজিটরি লিমিটেডকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে দেওয়া হয়েছে। কারণ, মূলত প্যান কার্ডের সব তথ্য থাকে এই সংস্থার কাছে। অর্থ মন্ত্রকের অধীনে কাজ করে এই সংস্থা। সেই তথ্য হাতে পেলেই ইডি-র কাছে অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যাবে আর্থিক লেনদনের বিষয়টি। অভিষেক, রুজিরা এবং সুজয়কৃষ্ণ এই তিনজনের ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট আছে কি না, থাকলে সেখানে কী লেনদেন হয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্যও মিলবে এই প্যান কার্ডের তথ্য থেকে।