আদালতে আবেদন করব, আবার আন্দোলনও করব, এটা কাম্য নয়, জানালেন এসএসসির চেয়ারম্যান

ধর্মতলা থেকে এসএলএসটি গ্রুপ সি বা গ্রুপ ডি একতা মঞ্চের তরফ থেকে যে আন্দোলন চলছে তা সরেছে বিধান নগরে। ইন্টারভিউয়ে বঞ্চিত আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা আদালতের অনুমতি নিয়ে বুধবার বেলা একটা থেকে ৭২ ঘণ্টার জন্য বিকাশ ভবনের কাছে অবস্থানে বসেছেন। ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিকাশ ভবনের অদূরে রাজপথে বসে রয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। রাত থেকে শুরু হয় অনশন। উচ্চপ্রাথমিকে আসন আপডেট করে অবিলম্বে তাঁদেরও নিয়োগ করতে হবে, এই দাবিতে এই অনশন শুরু করেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকার তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা অনশন জারি রাখবেন। এদিকে এই পরিস্থিতিতে আন্দোলন কাম্য নয় বলেই মন্তব্য করতে দেখা গেল স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে। তাঁর দাবি, যে আবেদন নিয়ে চাকরি প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, সেই একই দাবি নিয়ে তাঁরা আন্দোলন করতে পারেন না।

এদিকে বর্ধিত আসনে নিয়োগের দাবি নিয়েই করুণাময়ীতে শুরু হয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ। এদিকে প্রার্থীদের অনেকেরই চাকরির বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে তাঁদের কাছে বিকল্প কোনও উপায় নেই বলেও দাবি করেন তাঁরা। এদিকে, এসএসসি-র চেয়ারম্যানের দাবি, আসন বাড়ানোর বিষয়টি কমিশনের হাতে নেই। হাইকোর্ট নির্দেশ দিলে তবেই কাজ করতে পারবে তারা। একইসঙ্গে এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার এও জানান, ‘নির্দিষ্ট যে আসন রয়েছে, সেটা মেনেই কাউন্সেলিং চলছে। আদালতে এই প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই আসন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন হাইকোর্টে। এরপর আদালত যা বলবে, সেই মতো কাজ করতে হবে। আমরা নিজে থেকে আসন বাড়াতে পারব না, সরকারও পারবে না।’ আর আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আদালতে আবেদনও করব, অথচ চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষা না করে আন্দোলন করব, এটা কাম্য নয়। বিচার আপনার মনের মতো হতে পারে নাও হতে পারে। এই পথ থেকে সরে আসা উচিত।’

এদিকে সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালেই বেশ কয়েকজন চাকরি প্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোনও অবস্থাতেই আন্দোলন তথা অনশন থেকে সরতে নারাজ তাঁরা।

এদিকে আন্দোলনকারীরা এও জানাচ্ছেন, এসএসসির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের শেষ স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট (এসএলএসটি) হয়েছিল ২০১৬-য়। এরপর সাাত বছর ধরে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি আর বের হয়নি। রাজ্যের ১০ লক্ষ স্নাতকোত্তর-উত্তীর্ণ এবং বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থী অপেক্ষায়। অবিলম্বে নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞাপন চেয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউ এসএসসি-এসএলএসটি গ্রুপ সি বা গ্রুপ ডি একতা মঞ্চের তরফে শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল হয়। ছিল ব্যাপক পুলিশি ব্যবস্থা। চাকরিপ্রার্থীদের তরফে এদিন হাবিবুল্লা বলেন, ‘যতক্ষণ না সরকারি তরফে কেউ আমাদের সঙ্গে দেখা করে চলতি কাউন্সেলিংয়ে আসন বাড়িয়ে নিয়োগের আশ্বাস দিচ্ছেন, ততক্ষণ অনশন চলবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + 5 =