শীতকাল মানেই সর্দি, আর কাশি। আর এই কাশি যেন সহজে ভালো হওয়ার নয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে অ্যালার্জি, অ্যাজমা, শুষ্ক আবহাওয়া ও ধূমপানের কারণেও কাশি হয়ে থাকে।কাশি হলেই এন্টি-বায়োটিক খাওয়াও উচিত নয়। ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলেই পরিত্রাণ মেলে এই কাশি থেকে। যেমন,
১) হার্বাল টি বা গরম জলে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করা যায়। আবার শুধু ২ চা চামচ মধুতেও উপকার পাবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে তুলসি পাতা মধু একসঙ্গে চিবিয়ে খেতে পারলেও কিন্তু উপকার হবে।
২) সরাসরি কাশি না-কমালেও প্রোবায়োটিক আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যার ফলে শরীর সমস্ত ধরনের ব্যাক্টিরিয়া বা ভাইরাস মোকাবিলা করার শক্তি অর্জন করে। আর তাই টকদই খেতে পারেন একবাটি করে।
৩) আনারসে উপস্থিত ব্রোমেলাইন কাশি কম করতে ও গলায় জমে থাকা মিউকাসকে তরল করে। এক স্লাইস আনারস বা দিনে তিন বার ৩.৫ আউন্স আনারসের রস পান করতে পারেন। এছাড়াও দুপুরে রোজ একবাটি করে আনারস খেতে পারেন। এতে উপস্থিত মেন্থল গলার ভারি ভাব দূর করে এবং শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে তোলে।
৪) পেপারমিন্ট চা পান করে বা গরম জলে ৭-৮ ফোঁটা পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে ভাপ নিন।
৫) এদিকে বহুকাল ধরে গলা ব্যথা ও কাশি কম করতে মার্শমেলোর শিকড় ও পাতার ব্যবহার করা হচ্ছে।মার্শমেলো শিকড়ের চা অথবা এর ক্যাপসুল পাওয়া যায়। তবে বাচ্চাদের কিন্তু এই শিকড় দেবেন না। এসব খাওয়ার আগে অবশ্যই একবার অভিজ্ঞর পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
৬) ৮ আউন্স গরম জলে ১/৪ বা ১/২ চা চামচ নুন মিশিয়ে গার্গেল করলেও গলা ব্যথা ও জ্বালা কম করা যায়। অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান গলা ফুলে যাওয়া কম করতে পারে। আদা চা পান করে উপকার পাবেন। হলুদের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।