শীতের সময় নানা রকম ফল বাজারে মেলে। যে কোনও মরশুমি ফলই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারি। শীতের সময় এই ফলগুলি নিয়মিত খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।
কমলালেবুঃ সুস্থ জীবন যাপনের জন্য শীতকালে কমলালেবু খাওয়া খুবই উপকারি বলে মনে করা হয়। ডায়েটিশিয়ানরা জানাচ্ছেন, শীতের সময় কমলালেবু খেলে তা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এর ব্যবহারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়। এটি শীতকালে সংক্রমণ, ঠান্ডা লাগা এবং যে কোনও ভাইরাল অসুখের ঝুঁকি কমায়।
পেয়ারাঃ অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, পেয়ারা খেলে ঠাণ্ডা লাগা সেরে যায়। আসলে পেয়ারা হল ভিটামিন সি, এ, ই, ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ-সহ নানা ধরনের খনিজ পদার্থের ভাণ্ডার। প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খেলে মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী হতে পারে। শীতকালে সর্দি-কাশির প্রভাব থেকেও রক্ষা করে।
ডালিমঃ ডালিম রক্তকে তরল রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্তের ঘাটতিও পূরণ করে। এছাড়াও রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াকে প্রতিরোধ করে। এই কারণে এই ফল স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। শীতকালে অনেক মানুষ প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে এই ফলটি আমাদের ডায়েটের মধ্যে থাকা উচিত।
নাশপাতিঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নাশপাতি খুবই উপকারী। এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই কারণেই এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। এতে ক্যালরির পরিমাণও কম। তাই ওজন কমাতেও এই ফলটি খুবই উপকারী।
মুসম্বিঃ শীতকালে মুসম্বি খুব উপকারি। শীতের সময় সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগায় এই লেবু। আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান থাকে এতে। শীতকালে মুসম্বি খেলে সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব।
মিষ্টি আলুঃ মিষ্টি আলুতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ডি থাকে। তাই শীতকালে এটিও খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা খুবই উপকারী। নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে হৃদরোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। মিষ্টি আলু আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতিও দূর করে। এটি পরিপাকতন্ত্রকেও শক্তিশালী করে।