৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন

আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। সোমবার সংসদের সচিবালয় থেকে অধিবেশনের দিনক্ষণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। ১৯ দিনব্যাপী এই অধিবেশনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল উত্থাপনের সম্ভাবনা। শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে আগামী ২ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলগুলির মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলছে। সাধারণত, নভেম্বরেই শুরু হয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। কিন্তু পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য অধিবেশন পিছিয়ে ডিসেম্বর করা হয়েছে বলে খবর। এর আগে নতুন সংসদ ভবনে বিশেষ অধিবেশন হয়েছিল। এবার প্রথম বসতে চলেছে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, লোকসভা ভোটের আগে এটাই সংসদের শেষ শীতকালীন অধিবেশন। এই অধিবেশনের প্রথম দিনেই টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে যে সুপারিশ এথিক্স কমিটি করেছে, সেই রিপোর্ট লোকসভায় পেশ করা হতে পারে। সেই সঙ্গে আলোচনার জন্য পেশ করা হতে পারে নতুন ফৌজদারি বিল। এরই পাশাপাশি পেশ করা হতে পারে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ সক্রান্ত বিলটিও।

এর আগে গত ৯ নভেম্বর আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরুর কথা এক টুইট বার্তায় জানিয়েছিলেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। অমৃতকালের এই অধিবেশনে আইন সংক্রান্ত এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে সরকার সংসদে আলোচনার জন্য উন্মুখ বলে জানিয়েছিল তিনি।উল্লেখ্য, আগামী ৩ ডিসেম্বর রবিবার তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান এবং মিজোরাম বিধানসভার নির্বাচনের ফল। এরপর দিনই সংসদের অধিবেশন বসায় নির্বাচনে ফলের উপর নির্ভর করছে অধিবেশনের দিনগুলি কতটা শান্তিতে কাটবে। বিরোধী দলগুলি যদি ভালো ফল করে, সেক্ষেত্রে সরকারের উপর চাপ তৈরি হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

প্রসঙ্গত, গত বর্ষাকালীন অধিবেশন মণিপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়েছিল সংসদের দুই কক্ষ। বিঘ্নিত হয়েছিল সভার কাজ। বহু বিল আলোচনা ছাড়াই হয়েছিল পাশ। একাধিক ইস্যুতে এবারও বিরোধীরা সংসদে সরকারকে চাপে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে খবর। তবে, বিরোধী আক্রমণ সামলাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার পক্ষও। কেন্দ্রের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে এগোতে চাইছে তারা। লোকসভা ভোটের আগে সংসদে শেষ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের দিনগুলি কতটা শান্তিতে কাটবে, এখন সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − four =