মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ফের র্যাগিংয়ের অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এবারও কাঠগড়ায় সেই মেন হস্টেলের ক্যাম্পাস। দর্শন বিভাগের স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র এমন অভিযোগ সামনে এনেছেন সম্প্রতিই।তবে নিজের নাম গোপন রেখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠিতে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি, এমনটাই সূত্রে খবর।
এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, মেন হস্টেলের সিডি ব্লকে থাকতেন ওই প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। চিঠিতে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁকে হস্টেলে হেনস্থা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তাই অভিযোগ জানিয়ে হস্টেল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। এই ঘটনাকে ঘিরে ফের চাঞ্চল্য ছ়ড়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, চিঠিতে ওই ছাত্র লিখেছেন যে হস্টেলে যাওয়ার পর থেকে তাঁর উপর নানাভাবে র্যাগিংয়ের চেষ্টা চলে। বিভিন্নভাবে তাঁকে হেনস্থা করা হয়।কখনও মেসের বাজার নিয়ে অকথ্য গালাগালি, আবার কখনও তাঁকে দেখে কয়েকজন আবাসিক নানানভাবে মুখের অঙ্গভঙ্গি করেন। এমনকী বিষয়টি জানাজানি যাতে না হয় তার জন্য হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই সব ঘটনার পর থেকে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলেও ওই চিঠিতে জানিয়েছেন ওই পড়ুয়া।
বস্তুত, গত অগস্ট মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের নিচে এক প্রথম বর্ষের ছাত্রের দেহ পাওয়া যায়। অভিযোগ ওঠে র্যাগিংয়ের। ওই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে যায় গোটা রাজ্য। এমনকী তারপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের একাধিক ঘটনা শিরোনামে উঠে আসে। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কয়েকদিন আগেই বিষয়টি নিয়ে ফের শুরু হয় জলঘোলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং হেল্পলাইন নম্বর মারফত গত ১৩ অক্টোবর দুটি অভিযোগ জমা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডের চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠিও পাঠান।ঘটনার পর র্যাগিং রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তিন মাসের মধ্যে আবার সেই র্যাগিংয়ের অভিযোগ সামনে এল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের।