সিএএ কেউ রুখতে পারবে না, ধর্মতলা থেকে বার্তা অমিত শাহের

ধর্মতলায় বিজেপির মেগা শোতে প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্য শুনতে বুধবার সকাল থেকে গ্রাম উজিয়ে শহরে এসেছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। চব্বিশের নির্বাচনের আগে শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক কী বার্তা দেন বা নির্বাচনী রণকৌশলই বা কী হবে সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন সকলে। এদিন শাহ এলেন, বক্তব্য রাখলেন মিনিট তেইশ। আর তার মধ্যেই স্পষ্ট করে দিলেন, বাংলার শাসককে বিঁধতে ঠিক কোন বিষয়গুলোর ওপর জোর দিচ্ছে ‘হাইকম্যান্ড’। দুর্নীতির পাশাপাশি, অনুপ্রবেশকারী ইস্যু সিংহভাগ জুড়ে ছিল শাহি বক্তৃতার। বাংলায় এসে বঙ্গবাসীকে আরও একবার ‘সিএএ’-র কথা শুনিয়ে গেলেন শাহ। বার্তা দিয়ে গেলেন, ‘আমি এই সভা থেকে বলে যাচ্ছি সিএএ হল একটি আইন। একে কেউ রুখতে পারবে না। সকল হিন্দু ভাই বোনের দেশের উপর অধিকার রয়েছে।’ এরই রেশ টেনে শাহ এদিন উদাহরণ দেন অসমের। তাঁর কথায়, ‘অসমে বিজেপি সরকার হয়েছে। সেখানে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়েছে। আর এখানে ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করা হয়েছে। যেখানে ৩০ লক্ষ ভুয়ো অনুপ্রবেশ ঘটে সেখানে বিকাশ সম্ভব?’ অর্থাৎ, চব্বিশের নির্বাচনের আগে এসে, আরও একবার এক ‘কার্ড’ ছুড়ে দিয়ে গেলেন শাহ।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে,  সিএএ- এই শব্দবন্ধ দুটি রাজনৈতিক দলের কাছেই একটি তুরুপের তাস। কারণ বিজেপি বাংলার একটি শ্রেণিকে বোঝাতে চাইছে, বাংলায় তাঁর অধিকার এক ও সর্বাধিক। অন্যদিকে, বরাবরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই এক শ্রেণির ভোটব্যাঙ্ককে সুনিশ্চিত করার প্রয়াস চালিয়েছেন।

এর পাশাপাশি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা, চব্বিশের নির্বাচনের আগে সিএএ ইস্যুতে বেশ খানিকটা বিব্রত গেরুয়া শিবির। নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দিয়েই ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে মতুয়াদের একটা বড় ভোট ঝুলিতে ভরেছিল বিজেপি। হিন্দুদের নাগরিকত্বের আশ্বাস সেবার বিজেপির ভাল ‘ডিভিডেন্টের’ কাজ করেছিল। তারপর বিল পাশও হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ নাগরিকত্ব পাননি।

এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার যতটাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এই আইন কার্যকর করতে, ততটাই বিরোধিতায় তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বরাবর বঙ্গবাসীকে আশ্বাস দিয়েছেন, ‘সিএএ নিয়েও চিন্তা করবেন না। আমি বাংলার মানুষের পাশে আছি। এ মাটি আমাদের। বাইরের কে কী বলল, তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − eleven =