২০২৩ সালেই বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি স্কুলে তা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। কাউন্সেলিং ছাড়াই হয়ে গিয়েছে নিয়োগ। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলাও দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এই নিয়োগেই বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশ দিল আদালত। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট নির্দেশ দেন, আপাতত এই নিয়োগ করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে আদালতে রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়, শুধুমাত্র বয়স এবং অভিজ্ঞতার নিরিখেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়। জেলা স্কুল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়ম মেনেই এই নিয়োগ হয়েছে। এদিকে মামলাকারীর দাবি, বাঁকুড়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমেই নিয়োগ হয়েছে। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পরইবিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আপাতত ওই জেলায় নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। আগামী ২০ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি আছে। শুনানির গতি প্রকৃতি কোন দিকে গড়ায় সেদিকেই নজর থাকছে সবার।
উল্লেখ্য, বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় একের পর এক অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলায় যখন জর্জরিত শিক্ষা দফতর। বর্তমানে সেই মামলায় জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার এই নতুন অভিযোগে আরও অস্বস্তিতে শাসক দল বলেই ধারনা সমাজের একাংশের।