৫ ঘণ্টা ১৫ মিনিটেই শেষ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের তল্লাশি। এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়ি থেকে বেরনোর পর কাউন্সিলর জানান, ‘মনে হল সিবিআই সন্তুষ্টই।’ এইসঙ্গে তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি। বলেন, ‘যখনই দরকার হবে ডাকতে, তদন্তের স্বার্থে সিবিআই ডাকলে নিশ্চয়ই যাব।’
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত জানান তল্লাশির পর বেশ কয়েকটি নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। তাঁর দুটি ব্যাঙ্কের নথি, একটি মোবাইল এবং বেশ কয়েকটি বায়োডাটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বাপ্পাদিত্য জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন করেন সিবিআই আধিকারিকরা। তদন্তে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে কাউন্সিলর আরও
এদিকে সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ কলকাতা পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক তথা ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর পাটুলির বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। প্রায় ১৮ মিনিট পর বাড়ির ভিতরে ঢোকেন তদন্তকারীরা। কাউন্সিলর নিজেই দরজা খুলে দেন। প্রায় ৫ ঘণ্টা ১৫ মিনিট তল্লাশি চালায় সিবিআই। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তথ্যের খোঁজে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
এদিকে একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতেও হানা দেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সেখানেও চলে তল্লাশি। এরপর প্রায় ৬ ঘণ্টা পর বিধাননগরের তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে বের হন সিবিআই আধিকারিকেরা। এরপরই হাসিমুখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেবরাজ জানান, ‘আমি এবং আর যাঁদের বাড়িতে সিবিআই, ইডি তল্লাশি করছে, দোষ আমরা তৃণমূল করি। আমরা গর্বিত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী।’ এরই পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, ‘সকাল ৮টায় বাড়িতে আসে সিবিআই। আমি ছিলাম না। মা ফোন করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাতজন। সার্চ ওয়ারেন্ট ছিল। সার্চ করেছেন প্রতিটি ফ্লোর। উপযুক্ত প্রমাণ পাননি। আমার, আমার পরিবার, সংস্থার আয় সংক্রান্ত তথ্য নেয়। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এসেছিলেন। আমার দুটি বাড়িতে তল্লাশি চলে। আমি বলেছি আগামীদিনেও তদন্তে সহযোগিতার প্রয়োজন হলে করব। কিছু নথিপত্র স্ক্রুটিনির জন্য নিয়ে গিয়েছে। সার্চ লিস্ট দিয়ে গিয়েছে।’ এরপরই বেশ প্রত্যয়ের সঙ্গে জানান, ‘প্রাথমিক নিয়োগ সম্পর্কিত কোনও নথি আমার কাছে পায়নি। পাওয়ার কথাও নয়।’ ঘাসফুল শিবিরের কাউন্সিলর বলেই তাঁকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে, দাবি দেবরাজের। উল্লেখ্য, এর আগে ফিরহাদ হাকিমও শাহি সভার পরদিনই সিবিআই তৎপরতাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই দাবি করেন।