বঙ্গোপসাগরে ফুঁসছে ‘মিগজাউম’। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গভীর নিম্নচাপটি আগামী ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। এরপর শুক্রবারের মধ্যে সেটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’-এ পরিণত হবে। এই ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল থেকে বাংলাদেশ উপকূলের যে কোনও জায়গাতেই আছড়ে পড়তে পারে। আপাতত ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকেই নজর বেশি। ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম-এর সম্ভাব্য দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে সাত জেলাকে সতর্ক করেছে ওড়িশা প্রশাসন। এই ৭ জেলাগুলি হল বালেশ্বর, ভদ্রক, কেন্দ্রাপাড়া, জগতসিংহপুর, পুরী, খুরদা এবং গঞ্জাম। এরই পাশাপাশি আলিপুর আবহাওয়া দফতর এও জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বৃহস্পতিবার থেকেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অধিকাংশ অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি শুরু হবে।
এদিকে রাজ্যের ত্রাণ এবং উদ্ধার সংক্রান্ত দফতরের বিশেষ কমিশনার সত্যব্রত সাহু ওই সাত জেলার সজেলাশাসকদের সতর্ক করে জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিন সমুদ্র ভয়াল রূপ ধারণ করতে পারে। রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই সময় মৎসজীবীদেরও গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ভোর, সকাল কিংবা সন্ধ্যার পর হালকা যে শিরশিরানি অনুভূত হচ্ছিল তা অনেকটাই উধাও। কারণ, গত কয়েকদিনে আবার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, ২২ বছরে এই নভেম্বর ‘উষ্ণতম’। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, ৩ তারিখ অবধি দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে কোথাও কোনও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে এই সিস্টেমের কারণে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। ফলে পারাপতনের কোনও সম্ভাবনা এখনই নেই। অর্থাৎ ৪ তারিখ অবধি তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না।