শিক্ষা, পুরসভার পর এবার স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও নিয়োগে বেনিয়ম সামনে আসতে চলেছে কি না তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। কারণ, রাজ্যের হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুলে বিস্তারিত তথ্য জানতে আরটিআই আইনে এক চিঠি পাঠিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্তত, এমনাটই দাবি করছেন শুভেন্দু অধিকারী স্বয়ং। এই নিয়ে শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। এরই রেশ ধরে সুদীপ্তবাবু এও জানান, বিরোধী দলনেতা যা দাবি করচেন এমন কিছু হয়েছে বলে তাঁর মনে হয় না। সঙ্গে এও বলেন, ‘দুর্নীতির স্কোপ খুব একটা কিছু নেই। যে পদ্ধতিতে আমরা বাছাই করছি, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকের রেজাল্ট ওয়েবসাইটে দেওয়া হচ্ছে। সেটা যে কেউ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেখে নিতে পারেন।’ তবে প্রশ্ন উঠেছে তাঁরই বক্তব্যে। কারণ, তিনি বলেছেন,’দুর্নীতির স্কোপ খুব একটা নেই’। তাঁর নিজের বক্তব্যের সাফাই দিতে গিয়ে তিনি এমনও জানান, ‘দুর্নীতি নেই, দুর্নীতি নেই। খুঁজে পাবেন না।’
এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর টুইট ঘিরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ও চিকিৎসক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে। সার্ভিস ডক্টর্স ফোরামের সম্পাদক সজল বিশ্বাসও শুভেন্দুর বক্তব্য উস্কে দিয়ে জানান, নিয়োগে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।বদলির ক্ষেত্রেও বিস্তর বেনিয়ম ও দুর্নীতি রয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন সজল বিশ্বাস। এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, এই নিয়ে সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম আগেও একাধিকবার সরব হয়েছে। যে আরটিআই করা হয়েছে, তাতে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ্যে এলে বিস্ফোরক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলেই মনে করছেন তিনি। সজলবাবুর পাশাপাশি চিকিৎসক সংগঠনের নেতা মানস গুমটাও শাসক শিবিরকে বিদ্ধ করে জানান, ‘বিরোধী দলনেতার আরটিআই-এর উদ্যোগকে স্বাগত। এরই রেশ ধরে তিনি এও জানান, ‘স্বাস্থ্যে দুর্নীতির যথাযথ তদন্ত হলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে নয়, অ্যানাকোন্ডা বেরিয়ে পড়বে। স্বাস্থ্যে নিয়োগ দুর্নীতি, বদলি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমরা বলে আসছি। কেউ কোনও কর্ণপাত করেনি। তদন্ত হলে স্বাগত।’