‘গণ আদালতে গণ রায়’ নয়া কর্মসূচি নিয়ে ধর্মতলায় আন্দোলনে চাকরিপ্রার্থীরা

 

ধর্মতলায় আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন কয়েকদিনের মধ্যেই পা দেবে এক হাজার দিনে।  আর তারই আগে শনিবার ফের ধর্মতলার গান্ধি মূর্তির সামনে গণ আন্দোলনে গণ মত নেওয়ার এক নয়া কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এরই পাশাপাসি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তপ্তও হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর।

ধর্মতলায় এদিন ‘গণ আদালতে গণ রায় ‘ কর্মসূচিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষকতার চাকরি প্রার্থী থেকে শুরু করে প্রাথমিক, স্কুলের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি পদের চাকরি প্রার্থীরা অংশ নেন। ওয়েটিং তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের সুপার নিউমেরারি পদে নিয়োগের জন্য এদিনের আন্দোলন থেকে দাবি করা হয়। আর কতদিন তাঁরা বঞ্চনার শিকার হবেন, সে ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা হয় চাকরি প্রার্থীদের তরফে।

এদিনের অনুষ্ঠানে সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সিটু নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র, কামদুনি আন্দোলনের অন্যতম মুখ মৌসুমী, টুম্পা কয়লারা এসেও উপস্থিত হন। রাজ্য সরকার কেন যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করছে না, সে ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন জানান, এটা তো কয়েকদিনের ব্যাপার। যাঁরা যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন, তাদের মেধা অনুযায়ী নির্দিষ্ট পদে যোগ দিয়ে দেওয়া হলেই মিটে যায়। এভাবে তো এঁদের পুরো যৌবন কাল নষ্ট হয়ে গেল। আর কতদিন এঁরা এখানে এভাবে আন্দোলন করে যাবেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরাও এদিনের বিক্ষোভ সামিল হন। অন্যান্য জেলায় নিয়োগ হয়ে গেলেও তাঁদের জেলার ক্ষেত্রে কেন নিয়োগ করা হল না, সে বিষয়ে সরকারের কাছে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অথবা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করতে হবে বলে জানান তাঁরা।

তবে এদিনের এই আন্দোলন প্রথম নয়। এর আগেও দফায় দফায় ধর্মতলা থেকে সল্টলেকের করুণাময়ী বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন করেন চাকরি প্রার্থীরা। গত ১২ অক্টোবর সকালে ও দুপুরে সল্টলেকে, বিকেলে কালীঘাটে এবং সন্ধ্যায় ধর্মতলায় গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। পুজোর আগে নিয়োগের ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুজো কেটে গেলেও সরকারের তরফে চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগের ব্যাপারে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি, সেই কারণে ফের তাঁরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হচ্ছেন বলে এদিন জানান তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − one =