বহুতল থেকে পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধের

রবিবাসরীয় সকালে মর্মান্তিক ঘটনা খাস কলকাতায়। মুকুন্দপুরের অভিজাত বহুতল আবাসনে মিলল বৃদ্ধের মৃতদেহ। নাম, রঞ্জন বোস। মুকুন্দপুরের আবাসনের ১৩ তলায় বাস করতেন তিনি। সূত্রে খবর, অবসরপ্রাপ্ত এই বৃদ্ধের স্ত্রী আরবিআই-তে চাকরি করেন। মেয়ে থাকেন দিল্লিতে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মী। স্ত্রীয়ের সঙ্গে থাকতেন। তাঁদের এক মেয়ে দিল্লিতে থাকেন। ১০-১২ দিন আগে মেয়ের কাছে গিয়েছিলেন রঞ্জনবাবুর স্ত্রী। মেয়ের কাছেই থেকে যান। ফলে গত গত কয়েকদিন ধরে আবাসনের ১৩ তলার ফ্ল্যাটে একাই থাকছিলেন। এদিন পৌনে ছটা নাগাদ ১৭ তলার ল্যান্ডিংয়ের জানলা থেকে ঝাঁপ দেন তিনি।

আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, সাড়ে পাঁচটা-পৌনে ছটা নাগাদ আবাসনের আলো বন্ধ করতে গিয়েছিলেন। তখনই আচমকা ভারী কিছু পড়ার শব্দ শুনতে পান। তখনই ছুটে গিয়ে দেখেন বৃদ্ধ মাটিতে পড়ে রয়েছেন। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে এনআরএস-এ নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাঁকে। পুলিশ খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে। এলাকাও ঘিরে রাখেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানের আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন রঞ্জনবাবু। কিন্তু সেই সময় নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় তাঁকে আটকে দেওয়া গিয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তার জেরেই এবার চরম পথ বেছে নিলেন।

ঘটনায় আবাসনের সম্পাদক নীলাঞ্জন মৈত্র জানান, ভোর ৬টায় সিকিউরিটির থেকে খবর যায় তাঁর কাছে। তিনি সিকিউরিটিকে পুলিশে খবর দেওয়ার নির্দেশ দেন। তারপর সভাপতি-সহ বাসিন্দারা নেমে দেখেন পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে সূত্রের খবর, বহুতলের ১৭ তলায় এক জোড়া চটি পাওয়া গিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, সেখান থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন এই বৃদ্ধ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ওই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর দেহ নিয়ে চলে যায় ময়নাতদন্তের জন্য। আপাতত তদন্ত না এগানো পর্যন্ত কিছুই বলবে না পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + thirteen =