জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার মামলার পাশাপাশি আরও একটি এফআইআর থেকে অব্যাহতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি বিধায়করা। প্রসঙ্গত, বিধানসভা চত্বরে কাসর-ঘণ্টা বাজানোর অভিযোগেও মামলা হয়েছিল। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বিধায়কদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই মামলাতেই স্বস্তি দিল হাইকোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। এই মামলার শুনানির পর আদালত নির্দেশ দেয়, আপাতত বিধায়কদের গ্রেফতার করা যাবে না। প্রসঙ্গত, গত ২৯ নভেম্বর বিধানসভা চত্বরে স্লোগান দিচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়কেরা। অন্যদিকে, তখন শাসক শিবিরে শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত। তা সত্ত্বেও স্লোগান থামানো হয়নি। এই অভিযোগে এফআইআর হয় বিরোধী বিধায়কদের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় কলকাতায় সিঙ্গল বেঞ্জ রক্ষাকবচ দিয়েছে আগেই। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।
একইসঙ্গে আরও একটি এফআইআর হয় কাসর-ঘণ্টা বাজানোর অভিযোগে। শাসকদলের দাবি, জাতীয় সঙ্গীতের সময় কাসর ঘণ্টা বাজানো হচ্ছিল। কোনও শান্তিপূর্ণ ধরনায় কেন কাসর ঘণ্টা বাজবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে রাজ্যের শাসকদল। শুনানির পর আপাতত বিজেপি বিধায়কদের স্বস্তি দেয় হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, উল্টে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার মামলায় বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্যকে। আগে থেকে না জানিয়ে জাতীয় সঙ্গীত শুরু হয় কেন, সেই প্রশ্ন তোলা হয় আদালতের তরফ থেকে।