ফের মেট্রোয় ভোগান্তি, দুপুরে বন্ধ থাকল নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর পরিষেবা

ফের মেট্রোয় ভোগান্তি। রেকের সমস্যা থাকার জন্য দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়। এরপর নোয়াপাড়া স্টেশন থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চালানো হয়। বন্ধ রাখা হয় দক্ষিণেশ্বর এবং বরানগর স্টেশনে মেট্রো চলাচল। মেট্রো রেল সূত্রের খবর, এদিন দুপুর ১টা ৫৩ মিনিটে বরানগর থেকে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার পথে থার্ড রেলে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা দেখা দেওয়ায় দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবায় সমস্যা দেখা দেয়। এরপরই দমদম এবং দক্ষিণেশ্বরের মাঝে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই নোয়াপাড়া এবং বরানগর স্টেশনের মাঝে আপ লাইনে যান্ত্রিক সমস্যার কারণে বন্ধ রাখা হয় মেট্রো পরিষেবা। দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছিলেন নিত্যযাত্রীরা।

উল্লেখ্য, রবিবার অফিস যাত্রীর চাপ কম থাকলেও ছুটির দিনে অনেকেই শপিং থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজের জন্য বের হন। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা প্রচুর যাত্রী ব্যাবহার করে থাকেন। দক্ষিণেশ্বর মন্দির যাওয়ার জন্য এই মেট্রো পরিষেবা চালু হওয়ার কারণে সুবিধা হয়েছে যাত্রীদের। তবে রবিবার ছুটির দিন দক্ষিণেশ্বরে ভক্ত এবং দর্শনার্থী সমাগম অপেক্ষাকৃত বেশি। কিন্তু রবিবার দুপুরবেলা মেট্রো পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন অনেক যাত্রী। প্ল্যাটফর্মে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর ঘোষণা শোনেন তাঁরা। প্ল্যাটফর্মে আর কোনও যাত্রীকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। তাঁদের টিকিটমূল্য ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়।

এদিকে রবিবারের ঘটনায় মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, ‘থার্ড রেলে বিদ্যুৎ পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটেছে। দুপুর ১টা ৫২ মিনিট থেকে দমদম এবং দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। আবার দক্ষিণেশ্বর থেকে দমদম পর্যন্ত ১টা ৫৮ মিনিটে পরিষেবা বন্ধ হয়েছে।’

এদিকে বৃহস্পতিবারও বিদ্যুৎ সংযোগে গন্ডগোল হয়েছিল। একটি রেকের কানেক্টর ভেঙে বিপত্তি ঘটে। বারবার মেট্রোয় এই দুর্ভোগের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন যাত্রীরা। এর আগের সপ্তাহে মেট্রোয় আত্মহত্যার ঘটনায় ভোগান্তি শুরু হয়। রবীন্দ্র সদনে চলন্ত মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। এই ঘটনাতেও বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকে মেট্রো পরিষেবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + fourteen =