চাকরিপ্রার্থীদের পাশে পিসি সরকার জুনিয়র। এবার তিনি সোশ্যাল মাধ্যমে বার্তা দিলেন যোগ্য প্রার্থীরা যতদিন পর্যন্ত চাকরি না পাচ্ছেন, তিনি ততদিন পর্যন্ত জাদু দেখাবেন না। জাদুসম্রাটের এই ঘোষণার পর স্বাভাবিক ভাবেই শোরগোল বঙ্গ রাজনীতিতে। এদিকে চাকরিপ্রার্থীদের পাশে জাদুসম্রাট দাঁড়াতে অনেকটাই আশ্বস্ত তাঁরাও।
আর এই ঘটনাতে এটা স্পষ্ট যে রাসমনির আর্জি পৌঁছেছে জাদুসম্রাট পিসি সরকার (জুনিয়র)-এর কাছেও। আর তারপরই এমন এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে বসলেন জাদুসম্রাট। সূত্রে খবর, তিনি সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘যতদিন না পর্যন্ত ওঁরা ন্যায্য চাকরি পাচ্ছেন, ততদিন আমি ম্যাজিক দ্যাখানো বন্ধ রাখব। এটাই আমার প্রতিবাদ!’
এই প্রসঙ্গে পিসি সরকার জুনিয়র এও জানান, ‘আমিও স্রোতের মতো বয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু, এখানে এসে ধাক্কা খেয়েছি। মহিলাদের সৌন্দর্য্যের অন্যতম বিষয় চুল। কেন এক চাকরিপ্রার্থীকে চুল কামিয়ে ফেলতে হবে?’ তাঁর সংযোজন, ‘আমি নিজের বিবেকের কাছে জবাব দিতে পারছিলাম না। ম্যাজিক রূপকথার মঞ্চ। সুখে থাকার মঞ্চ। কিন্তু, মানুষ যদি সুখেই না থাকেন, পুলিশ যদি সুরক্ষা না দেয়, সরকার যদি আশ্বাস না দেয় তা হলে তো সব অর্থহীন।’ এর আগেও একাধিকবার রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতে শোনা গিয়েছিল পিসি সরকারকে। এবার তাঁর এই ঘোষণা একদিকে যখন চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে অনেকটাই শক্তি জোগাল, তেমনই রাজ্য সরকারকে আরও একবার তীব্র আক্রমণ শানাল, তা বলাই বাহুল্য।
জাদুসম্রাটের এই সিদ্ধান্তে রাসমণি জানান, ‘প্রচুর পরিমাণ দুর্নীতি সামনে এসেছে। এখনও অনেক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসেনি। আমরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনওভাবে বঞ্চিত হয়েছি। আমাদের আন্দোলনের ১০০০ দিন পেরিয়েছে। আমরা বারবার চেয়েছি সরকার যাতে আমাদের কথা চিন্তা করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সমাজের সমস্ত স্তরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম। সমাজে এখনও কিছু ভালো মানুষ রয়েছে যাঁদের জন্য শক্তি চাই, মনোবল পাই। পি সি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। মনে হচ্ছে সরকার আর প্রহসন করবেন না। বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করবেন আমাদের।’