মাঝে আর মাত্র কয়েকদিন। আগামী রবিবারেই কলকাতার ব্রিগেডে লক্ষ কন্ঠে উচ্চারিত হবে গীতার শ্লোক। এক লক্ষের বেশি মানুষের উপস্থিতি, হাজার হাজার শঙ্খের ধ্বনিতে কার্যত বিশ্ব রেকর্ডে নাম লেখাতে চলেছে তিলোত্তমা। আগামী ২৪ ডিসেম্বর ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ, সংস্কৃতি সংসদ ও মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন আশ্রমের মতো একাধিক সংগঠন। এদিকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন,একাধিক বিশেষ ব্যক্তিত্ব যেমন উপস্থিত থাকবেন, তেমনই উপস্থিত থাকবেন বহু সাধু-সন্তও। তাই ব্রিগেড সাজানো হচ্ছে বিশেষভাবে। তার প্রস্তুতি পর্বও চলছে পুরোদমে। কোনও খামতি যাতে না থাকে, সে দিকেই মন দিয়েছেন আয়োজকরা। আর এই মঞ্চ সাজাতে তৈরি হচ্ছে ৫ কোটি টাকা।
সূত্রে খবর, মূল মঞ্চ অর্থাৎ যেখানে বিশেষ অতিথিরা বসবেন তা হবে ৯৬ ফুট চওড়া এবং ৪০ ফুট লম্বা। সব মিলিয়ে পুরো মঞ্চ হবে ১৪৮ ফুটের। মূল মঞ্চের পিছন দিকে থাকবে প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ অফিস। মঞ্চের বাঁ দিকে আরও একটি মঞ্চ থাকবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত সাধুদের সঙ্গে বসে খাবেন। সেই মঞ্চ হবে ৮২ ফুট লম্বা, ১০০ ফুট চওড়া।
মূল মঞ্চের ডান দিকে থাকবে আরও একটি ছোট মঞ্চ। সেখানে হবে গান। অর্থাৎ মোট তিনটি মঞ্চ হবে। পুরো ব্রিগেড চারদিকে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। ব্রিগেড মাঠে প্রধানমন্ত্রী যে রাস্তা দিয়ে মঞ্চে প্রবেশ করবেন, তা হবে ৩৫ ফুট দীর্ঘ। এদিকে, মূল মঞ্চের কাছে থাকবে চারটি সংরক্ষিত এলাকা। সেখানে বসবেন সাধু-সন্ত, বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা, থাকবে স্পনসর ও ভিআইপিদের জন্য আলাদা জায়গা। সাধু-সন্ত ও পড়ুয়ারা ১৪৫৮ জন করে থাকবেন প্রত্যেক ভাগে। ভিআইপি এবং স্পনসর থাকবেন ১১৩৪ জন। এছাড়া হবে সাধারণ মানুষের জমায়েত।
এখানেই শেষ নয়, থাকছে থাকার ব্যবস্থাও। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে আগের দিন যাঁরা পৌঁছবেন তাঁদের বিভিন্ন মঠ, মন্দির ও ব্রিগেডে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই আয়োজনের জন্য প্রাথমিকভাবে খরচ ধরা হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা। সবাইকে নিয়ে যাওয়ার জন্য থাকবে ২৫০টি বাস ও লরি। ১৩টি বিশেষ ট্রেন চালানোর জন্যও রেল দফতরের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।