মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বসলেন না বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বসলেন না বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকালেই হাইকোর্টের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কথা জানানো হয়। তাঁর জন্য নির্ধারিত ১৭ নম্বর রুম খালি থাকবে বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যেকদিনই কোন কোন বিচারপতি হাইকোর্টে বসবেন, তা জানিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। মঙ্গলবারও হাইকোর্টের তরফে প্রকাশিত সেই তালিকায় নাম ছিল না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে যে মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা ছিল তা বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চে উঠবে।

প্রসঙ্গত, সোমবার এক আইনজীবীকে ‘সিভিল প্রিজন’-এ পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন মাদ্রাসা কমিশন সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানির সময় কমিশনের আইনজীবীর আচরণে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ওই আইনজীবীকে তিনি তিনদিনের ‘সিভিল প্রিজেন’-এ পাঠানোর নির্দেশ দেন। প্রথামতো সেই আইনজীবীকে তুলে দেওয়া হয় হাইকোর্টের শেরিফের হাতে। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এই খবরের কথা চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বার অ্যাসোসিয়েশন। আর সাধারণ সভা ডেকে বিচারপতির এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয় বার অ্যাসোসিয়েশন। এদিকে সোমবার রাতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ। এরপর মঙ্গলবার যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টে বাড়তি পুলিশ মোতায়েনও করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

এদিকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি চলছে। এদিকে তিনি মঙ্গলবার এজলাসে বসছেন না, এই খবর চাউর হওয়ার পর মামলাকারী ও উৎসুকদের ১৭ নম্বর ঘরে উঁকিঝুঁকি মারতে দেখা গিয়েছে। বুধবার বিচারপতি বসবেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। কারণ হাইকোর্ট প্রকাশিত নোটিসে এর কোনও উল্লেখ নেই।

এদিকে মঙ্গলবারেও নিজেদের সিদ্ধান্ত অনড় বার অ্যাসোসিয়েশন। ক্ষমা না চাওয়া অবধি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইজনীবীদের অন্যতম বড় সংগঠন বার অ্যাসোসিয়েশেনের সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 + 3 =