এবার বনদফতরে হানা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টেরেটের

এবার এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের হানা বনদফতরে। সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকে অরণ্য ভবনে হানা দেয় ইডি। সঙ্গে এ খবরও মিলছে,  রেশন দুর্নীতির তদন্তেই এই হানা। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। এই জ্যোতিপ্রয়ই আবার রাজ্যের বর্তমান বনমন্ত্রী।

এদিকে রেশন দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই ইডি চার্জশিট পেশ করেছে। তাতে নাম রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বাকিবুর রহমানের। ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেশনে দুর্নীতি চলেছে। খাদ্য দুর্নীতি মামলায় কয়েকদিন আগে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট ইডি জমা দিয়েছে, সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, এই খাদ্য দুর্নীতি অর্থাৎ একদিকে বণ্টন, অন্যদিকে ধান কেনা নিয়ে দুর্নীতি চলছিল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। অর্থাৎ ২০২১ সালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দফতর বদলের পরও এই দুর্নীতি রমরমিয়ে চলছিল।

সেই সূত্রেই নথি ও তথ্যের খোঁজে ইডির অরণ্য ভবনে হানা বলে জানা গিয়েছে। সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের অরণ্য ভবনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে হাজির হন ইডি আধিকারিকরা। তাঁরা সোজা চলে যান ৯ তলায় বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের খাস কামরায়। ফলে স্বভাবতই জল্পনা ছড়িয়েছে খাদ্য দুর্নীতি মামলা হঠাৎ কেন অরণ্য ভবনে হানা দিলেন ইডির আধিকারিকেরা।  রেশন-তদন্তের হাত ধরে আবার নতুন কোনও পর্দা না ফাঁস হয় সেই দিকেও তাকিয়ে রাজনীতির কারবারিরা।

এদিনের ইডির এই অভিযান ঘিরে সামনে আসছে এ প্রশ্নও যে জ্যোতিপ্রিয় দফতর বদলের পরেও যদি খাদ্য দফতরে সেই দুর্নীতি চলে, তাহলে কিদফতর বদলের পরেও অরণ্যভবনের ৯ তলার দফতর থেকে খাদ্য দফতরের দুর্নীতির সুতো সামলাতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজেই? সূত্রের খবর, বাকিবুর রহমানের হালহকিকত জানতে তাঁর শ্যালক অভিষেক বিশ্বাসকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। সেই অভিষেকই নাকি জানিয়েছেন, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আশীর্বাদেই অরণ্য ভবনে চাকরি পেয়েছেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে অবশ্য ইডি আধিকারিকরা যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তাতে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বেশ কিছু জোরাল তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যাঁর উপর ভিত্তি করে দফতর হারানোর পরও অরণ্য ভবনে বসেই পুরনো দফতরের দুর্নীতির সমস্ত কলকাঠি নাড়তেন জ্যোতিপ্রিয়। তাই যখন খাদ্য দুর্নীতির পরিধি তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ বড় হচ্ছে এবং দুর্নীতির টাকার অঙ্ক বাড়ছে, তখন ইডি আধিকারিকদের সন্দেহ অরণ্য ভবনে মন্ত্রীর ঘরে বা তাঁর আপ্তসহায়কের ঘরে খোঁজ মিলতে পারে নতুন কোনও তথ্যের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 11 =