কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে আপাতত স্বস্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে আপাতত স্বস্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বুধবার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। দুই বিচারপতির বেঞ্চ এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থহিতাদেশ জারি করেছে।

প্রসঙ্গত, ১২ ডিসেম্বর ৪২০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ। ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ ও ২০২০ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জেলা ভিত্তিক প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। উল্লেখিত তারিখে, আদালতের পূর্ববর্তী নির্দেশ অনুযায়ী হলফনামা পেশ করেছিল পর্ষদ। হলফনামায় জানানো হয়, অতীতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে একটি প্যানেল প্রকাশ করেছিল আদালত। কিন্তু ২০১৬-র নিয়োগর নিয়ম অনুযায়ী প্যানেল প্রকাশের নিয়ম নেই।

কিন্তু পর্ষদের এই নির্দেশ মানতে রাজি হয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। পর্ষদের আইনজীবীকে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, নিয়োগের প্যানেল খতিয়ে দেখার অধিকার আদালতের রয়েছে। প্যানেল প্রকাশের বিরোধিতা করে পর্ষদ কোনও কিছু আড়াল করতে চাইছে কি না, সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি সিনহা।

এই মামলায় এর আগে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরি পাওয়া ৯৪ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতিকে বলে শোনা যায়, ‘যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের কাছে প্রতিটা দিনের মূল্য রয়েছে। বঞ্চিতরা আর কতদিন অপেক্ষায় থাকবেন! দিনের পর চাকরি প্রার্থীদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। দেড় মাস হয়ে যাওয়ার পরও পর্ষদ কেন হলফনামা দিতে পারল না?’ একইসঙ্গে হলফনামা দেওয়ার জন্য পর্ষদকে সাতদিন সময় দিয়ে বিচারপতি জানান, ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে দুটি প্যানেল জমা দিতে হবে। ১২ ডিসেম্বর প্যানেল জমা না দেওয়ার কারণে পর্ষদকে বিচারপতির ধমক খেতে হয়।

এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই মামলারই শুনানি ছিল বুধবার বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয়কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। বুধবারের শুনানির পর বিচারপতির সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর ৪ সপ্তাহের অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশের নির্দেশ বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এই চার সপ্তাহের মধ্যে শুনানি চালাতে পারবে সিঙ্গল বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানির আগে আদালতে ফের তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দেবে সিবিআই। তারপরই এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি করবে ডিভিশন বেঞ্চ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × two =