নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র স্ক্যানারে এবার পার্থ ঘনিষ্ঠ পার্থ সরকার ওরফে ভজা। সূত্রে খবর, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ কলকাতা পৌরসভার ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কাউন্সিলর এই পার্থ সরকার ওরফে ভজা। এর আগেও পার্থ সরকারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডির দাবি, ভজার কাছে পৌঁছত দুর্নীতির টাকা। আর তা উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটেও। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত ছাত্র নেতা কুন্তল ঘোষ ও মন্ত্রী পার্থর মধ্যে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে তিনিই ছিলেন অন্যতম মিডলম্যান। ইডি-র দাবি, অযোগ্য প্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও পার্থর নাম উঠে এসেছে। এদিকে ইডি সূত্রে খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় সিজিওতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। প্রসঙ্গত, এর আগে কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকেও তলব করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিরোধী নেতা থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মালিকানাধীন মিনিবাসের রক্ষণাবেক্ষণ করতেন ভজা। সেই থেকেই ঘনিষ্ঠতা। ধীরে ধীরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত কাছের লোক হয়ে ওঠেন তিনি। এলাকাবাসীদের কাছেও তিনি নেতা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, নেতার ‘ভাই’ বলেই পরিচিত ছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও দেখা করতেন। এই প্রসঙ্গেই ইডি-র দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রেও ভজার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইডি উল্লেখ করেছে, যোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা এবং কয়েক কোটি টাকা ভজার মাধ্যমেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছত। শুধু তাই নয়, গত ১২ বছরে ভজার আর্থিক সম্পত্তির বিকাশ ঘটেছে বহুল। সূত্রের খবর, পার্থর সুপারিশেই তিনি ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তারপর তৃণমূলের টিকিটে জিতে কাউন্সিলর। মিনিবাসের রক্ষণাবেক্ষণ করা ব্যক্তিটি এখন ঠিক কত টাকার মালিক, তা খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা। তাই ভজার ১২ বছরের সম্পত্তি ও আর্থিক লেনদেনের সমস্ত ডিটেইলস তলব করেছেন তদন্তকারীরা।