সৌদিতে বসে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন জমা ইস্য়ুতে নির্বাচন কমিশনের হাতে তদন্তের ভার আদালতের

সৌদি আরবে বসেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন কীভাবে সম্ভব সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। বিচারপতি সিনহার একক বেঞ্চ এই মামলায় এবার কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেয়। ঠিক কী হয়েছিল, কোন প্রক্রিয়ায় মনোনয়ন জমা নেওয়া হয়েছিল, সেখানে কারা সই করেছেন সেই সব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে বলা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। তদন্ত করে ২৮ জুনের মধ্যে কমিশন আদালতে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনকে।

এরপর শুক্রবার মামলার শুনানি পর্বে বিচারপতি অমৃতা সিনহা কমিশনের কাছে জানতে চান, কোনও প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে সেখানে উপস্থিত থাকতে হয় কি না তা নিয়ে। কারণ, ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে ৯ জুন। এদিকে ওই ব্যক্তি হজ করতে সৌদি আরবে পাড়ি দেন ৪ জুন। এখানেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি তিনি হজে যাওয়ার আগেই সই করে গিয়েছিলেন তা এদিন জানতে চান বিচারপতি সিনহা। তখন কমিশনের তরফে জানানো হয়, মিনাখার ওই প্রার্থী সম্ভবত আগেই সই করে গিয়েছেন বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন।

সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেন। যদিও মামলাকারী পক্ষের দাবি ছিল, স্বাধীন কোনও সংস্থাকে দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করানোর। তবে যেহেতু কমিশন নিজে থেকেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চাইছে, তাই এই মুহূর্তে কমিশনকেই ঘটনার তদন্তভার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখার কুমারজলিতে এবার পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা করেন মহরুদ্দিন গাজি নামে এক ব্যক্তি। তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। আর তাঁর প্রার্থী পদ ঘিরেই উঠতে শুরু করেছে একগাদা প্রশ্ন। এদিকে দাবি করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি ৪ জুন হজের জন্য সৌদি আরবে গিয়েছেন। আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কীভাবে তিনি মনোনয়ন জমা দিলেন তা নিয়ে।এরপরই এই প্রশ্ন তুলে  আদালতে মামলা করা হয়। একইসঙ্গে মামলাকারী এ দাবিও করেন, যাতে ওই ব্যক্তির মনোনয়ন বাতিল করে দেওয়া হয় এবং গোটা বিষয়টি যাতে কোনও স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানো হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 1 =