বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ বেলেঘাটায়

বিজেপি নেতাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত স্ত্রীও। বিজেপি নেতার অভিযোগ, তিনি বিজেপি করেন বলেই এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতীর ক্ষোভ ছিল তাঁর ওপর। এর আগেও একাধিকবার তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির বাইরেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় বেলেঘাটায়। বৃহস্পতিবার সন্ধের এই ঘটনায় অভিযোগের তির এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক সমীর সিং, সুনন্দা সিং, জিতেন্দ্র সাউয়ের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

এদিকে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  সোমবার রাত ১০টা নাগাদ বেলেঘাটা অঞ্চলের বিজেপির সম্পাদক সঞ্জয় সিংয়ের ওপর হামলা চলে । জানা যাচ্ছে,  তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভব্য আচারণের প্রতিবাদ করে বৃহস্পতিবার বিকালেই বিজেপি এলাকায় আন্দোলন করে। তার নেতৃত্বে ছিলেন সঞ্জয়। সেখানে কুশপুতুলও পোড়ানো হয়। তারপর রাতে দলীয় কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন সঞ্জয়।

বৃহস্পতিবার রাতে যখন ঘটনাটি ঘটে তখন বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সঞ্জয় সিং। হঠাৎ-ই লাঠি, বাঁশ নিয়ে কয়েকজন তাঁর ওপর হামলা চালান। রাস্তায় ফেলে বাঁশ-লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় স্ত্রীকেও। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে যাওয়ায় দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে দাবি বিজেপি নেতার। ঘটনার পর  থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এই ঘটনায় বিজেপি নেতা তমোঘ্ন ঘোষ বলেন, ‘নারকেলডাঙা থানা এলাকায় প্রায়ই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিজেপি করায় টোন টিটকারি করা হয় প্রায়ই। তারপর লোকজন এসে মারধর করে। এই ঘটনায় পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা করুক।’ যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ‘এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতিকে জড়িয়ে লাভ নেই। এর পিছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × three =