বর্ষশেষ হয়ে বর্ষবরণের দেরী নেই। দেরী নেই লোকসভা নির্বাচনেরও। আর ২০২৪-এর এই লোকসভা নির্বাচনের আগেই এক বিরাট সাংগঠনিক বদল বঙ্গ বিজেপিতে।সংগঠনের ‘গুরুদায়িত্ব’ পেলেন অভিনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এই প্রথমবার। শুক্রবার তাঁকে গেরুয়া শিবিরের যুব মোর্চার ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, যুব মোর্চার সভাপতি পদের দায়িত্বে থাকছেন ইন্দ্রনীল খাঁ। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের ধারনা, অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যখন যুব মুখের উপর বিশেষ নজর দিচ্ছে সেই সময় এই বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করল বিজেপিও। আর সেই কারণেই দীর্ঘদিন বড় পর্দা এবং অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও হিরণের অভিনেতা হিসেবে আলাদা একটা জনপ্রিয়তা রয়েছে। ফলে যুব মুখ হিসেবে তাঁকে সামনে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বঙ্গ বিজেপিতে যুব মোর্চাকে আরও চাঙ্গা করার জন্য হিরণকে নিয়ে আসা হয়েছে বলেই মতামত ওয়াকিবহাল মহলের।
লোকসভা নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে সামান্যতম ফাঁক বা ত্রুটি রাখতে চাইছে না কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে, তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুবক এবং নারী শক্তির কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছিলেন।
গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, সংগঠনকে আরও মজবুত করার জন্য এই রদবদল। শুধু যুব মোর্চা নয়, অন্যান্য সমস্ত মোর্চার ক্ষেত্রে ইনচার্জ পদে নিয়ে আসা হয়েছে নয়া মুখ। মহিলা মোর্চার ইনচার্জ করা হয়েছে পারমিতা দত্তকে, কিষান মোর্চার ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব পেয়েছেন শ্যামচাঁদ ঘোষ, এসসি মোর্চার ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব পেয়েছেন রথিন বসু, এসটি মোর্চার ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব পেয়েছে ক্ষুদিরাম টুডু, ওবিসি মোর্চার ক্ষেত্রে মনোজ পাণ্ডে এবং সংখ্যালঘু মোর্চার ক্ষেত্রে মাফুজা খাতুন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ধর্মতলায় সভা করে গিয়েছেন অমিত শাহ। শোনা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই তিনি রাজ্যে আসতে চলেছেন। লোকসভায় ৪২টি আসনের মধ্যে দখলে থাকা ১৯টি আসন ধরে রাখা এবং কিছুটা লাফ দিয়ে এই সংখ্যাটা আরও বাড়ানোর চেষ্টায় এবার বিজেপি। আর সেই জন্য ‘শাহি দাওয়াই’ অন্যতম ভরসা বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের একাংশের।