রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে একগুচ্ছ নয়া উদ্যোগ নিল রাজ্য পরিবহণ দপ্তর।কারণ, পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্যের আরও ১২টি রুটে চলবে সরকারি বাস। যাত্রীদের মুশকিল আসান করার জন্য এই সিদ্ধান্ত। অন্তত এমনটাই জানানো হচ্ছে পরিবহণ দপ্তরের তরফ থেকে। সঙ্গে পরিবহণ দপ্তরের সংয়োজন, শুধু কলকাতা নয়, জেলাগুলির ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। আর এই তালিকায় রয়েছে জাঙ্গিপাড়া-শ্রীরামপুর, রাজবলহাট-এসপ্ল্যানেড (যা সীতাপুর হয়ে আসবে), ডোমজুড় থেকে কলকাতা (যা শলপ হয়ে আসবে), মুন্সিরহাট থেকে হাওড়া যা বাঁকড়া হয়ে যাবে, বাঁকুড়া থেকে মালদা, পুরুলিয়া থেকে কৃষ্ণনগর, দুর্গাপুর থেকে কৃষ্ণনগর, দিঘা থেকে খাতড়া হয়ে খড়্গপুর, বাঁকুড়া থেকে মেদিনীপুর হয়ে লালগড়, ক্ষীরগ্রাম থেকে মেমারি হয়ে কলকাতা, দিঘা থেকে খড়্গপুর হয়ে খাতরা, দুর্গাপুর থেকে বোলপুর। অর্থাৎ, মূলত জেলা এবং শহরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে উন্নত করা যায়, পাশাপাশি প্রান্তিক এলাকাগুলিতেও যাতে সরকারি বাস চালানো যায় সেই বিষয়টিও সুনিশ্চিত করা হচ্ছে বলে দাবি পরিবহণ দপ্তরের তরফ থেকে। এদিকে কয়েকদিন আগেই এয়ারপোর্ট-টালিগঞ্জ ও এয়ারপোর্ট-হাওড়া এই দুই রুটে ১০টার পর বাস চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর এবং বিধাননগর পুলিশ। কারণ, রাতের বেলা সুযোগ বুঝে ভাড়া বাড়িয়ে দেন অ্যাপ ক্যাব চালকরা। ফলে এই রুটগুলিতে গন্তব্যে পৌঁছতে রাতের বেলা সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের।
এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলতেই হয়,২০২১-এর নির্বাচনী প্রচারে নেমে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নেও বিশেষ জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।