২ জানুয়ারি সুবল মান্নাকে তলব তৃণমূল ভবনে

এবার তৃণমূল ভবনে কাঁথির পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা ডাক পড়ল সুবল মান্নার। আগামী ২ জানুয়ারি সুবলকে তৃণমূল ভবনে আসতে বলা হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। সেখানে সুবল মান্নার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। শুধু সুবলকেই নয়, তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্বকেও ডাকা হয়েছে ওদিনের বৈঠকে। গোটা জেলা নেতৃত্বের সঙ্গেই সেদিন বৈঠক করবেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা।

তবে গত বেশ কয়েকদিন ধরেই বেজায় চাপের মুখে কাঁথির পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা সুবল মান্না। স্থানীয় এক স্কুলের অনুষ্ঠানে গিয়ে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে সবার সামনে প্রণাম করেছিলেন সুবল। অনুষ্ঠানে গিয়ে শিশিরের পাশে বসে থাকতেও দেখা যায় তাঁকে। আর এই নিয়েই বিতর্কের শেষ নেই। প্রথমে শোকজ়, তারপর একেবারে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ। এসবের মধ্যেই

কাঁথির বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারীকে প্রণাম কাণ্ডে যে দলের অন্দরে বেশ ফ্যাসাদে পড়েছেন সুবল মান্না, তা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট। সুবলের মুখে শিশিরের ‘ভজন’ শুনে বেজায় বিরক্ত তৃণমূল নেতৃত্ব। এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বুধবারই বলেন, ‘কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান যেভাবে বিশ্বাসঘাতক শিশির অধিকারীকে প্রণাম করে, নিজের গুরুদেব ইত্যাদি বলে ভজন করেছেন, তা তৃণমূল কর্মীরা আদৌ ভালভাবে নেননি। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং তাঁকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে।’

এখানেই শেষ নয়, তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা দলীয় মুখপাত্র কুণাল আরও জানান, ‘চিঠি দিয়ে বলা হলে, সেটা বরখাস্ত হয়ে যায়। তাঁর ন্যূনতম সম্মান রাখার জন্যই ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। কেউ যদি পদের মধু আঁকড়ে বসে থাকেন, তাহলে তিনি দলের নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাচ্ছেন।‘

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারও নিজের অফিসেই গিয়ে কাজকর্ম করছেন কাঁথির পুরপ্রধান সুবল মান্না। দলের উচ্চতর নেতৃত্বের থেকে কোনও চিঠি পেয়েছেন কি না, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করায় তিনি জানিয়েছেন কোনও চিঠিই পাননি তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × four =