নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ঘনিষ্ঠ দুই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে তলব করল ইডি

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র ঘনিষ্ঠ দুই চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট একে তুলসিয়ান ও এসকে ভরতিয়াকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী সপ্তাহে তাঁদের ইডির সিজিও কম্পলেক্সের অফিসে তলব করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সুজয়কৃষ্ণের একাধিক কোম্পানির সঙ্গে এই দুই হিসাবরক্ষকের যোগাযোগ রয়েছে।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে, এমন খবরও মিলেছে ইডি-র তরফ থেকে। এরপরই তাঁর ছ’টি কোম্পানির হদিশ পায় ইডি। সেই সংস্থাগুলিতে হিসাবরক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন এই একে তুলসিয়ান ও এসকে ভরতিয়া।

এদিকে ইডি সূত্রে খবর, কালীঘাটের কাকু যে কোম্পানিগুলির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, সেই সংক্রান্ত তথ্যর জন্য দুই হিসাবরক্ষককে এই তলব।কারণ, ইডি জানতে চায়, সুজয়কৃষ্ণের কোম্পানিতে টাকা কোথা থেকে আসত বা  কী কী উপায়ে টাকার লেনদেন করা হত সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। সঙ্গে ইডি এও জানার চেষ্টা করছে,  সুজয়ের সংস্থায় কারা টাকা পাঠাতেন  সে ব্যাপারেও।আর এই সব তথ্য মিলতে পারে সুজয়কৃষ্ণ ঘনিষ্ঠ দুই চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট একে তুলসিয়ান ও এসকে ভরতিয়ার কাছ থেকে।

এদিকে ইডি সূত্রে খবর, জেরায় একাধিকবার এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হলেও সুজয়কৃষ্ণ তা সুকৌশলে এড়িয়ে যান। এমনকী তদন্তকারী সংস্থাকে ঘুরপথে চালিত করার অভিযোগও উঠেছে কালীঘাটেপ কাকুর বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে হাওয়ালার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার চাঞ্চল্যকর দাবিও তোলা হয়েছে ইডি-র তরফ থেকে। আর এই টাকা কাজে লাগানো হয়েছে সুজয়কৃষ্ণের রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায়।একইসঙ্গে গোয়েন্দাদের অনুমান, গোরু ও কয়লা পাচারের টাকা রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

এদিকে আবার ইডির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন কালীঘাটের কাকু। ইডির বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে জেরার অভিযোগ তোলেন সুজয়। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোহ স্বীকার করে নেওয়ার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে ইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। যদিও ইডির তরফে কালীঘাটের কাকুর করা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

এদিকে ইডি সূত্রে খবর, তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের বদ্ধমমূল ধারনা, সুজয়কৃষ্ণের অ্যাকাউন্টে গরু ও কয়লা পাচারের টাকাও ঢুকেছে। সেই কারণে সুজয়কৃষ্ণের গতিবিধির উপর নজর রাখছে সিবিআইও। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তদন্ত আরও এগোলে কালীঘাটের কাকুর সম্পত্তির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। অর্থাৎ এখন সবারই নজর, আগামী দিনে এই মামলার তদন্তে কোন দিকে যায় সেদিকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =